ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার চার মাস পরেও দণ্ডিত ব্যক্তিকে মামলার আদেশের অনুলিপি কেন দেয়া হয়নি তার ব্যাখ্যা জানতে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
দণ্ডিত এক ব্যক্তির করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্ট তার রুলে ওই মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.সারওয়ার আলমকে সাত দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী সাখাওয়াত হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস ও পশু খাদ্য আইনে গত ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। এরপর মিজান মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন সেজন্য গত ২১ জুলাই আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করেন।
কিন্তু সাজার পর চার মাস পার হয়ে গেলেও সে আদেশের অনুলিপি পাওয়া যায়নি। ফলে আপিল করতে পারছেন না মিজান মিয়া। তাই মামলার ওই আদেশের অনুলিপি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে তিনি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।