ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোর বেড়িবাঁধ ভেঙে বোরো ও আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাব ও জোয়ারের পানির চাপে বরগুনার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শস্যের ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। ঝড়ের তাণ্ডবে নষ্ট হয়েছে সবজির বাগান। গবাদি পশুর খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।
বরগুনার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদ জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে নাভী জাতের আউশ ধানের ভাসমান বীজতলা তৈরির ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে, যেন পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ওই বীজতলা ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
অন্যদিকে জনগণের ফসল, গবাদিপশু ও মাছের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষয়ক্ষতি সঠিকভাবে নিরূপণ করে সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান বরগুনার জেলা প্রশাসক ড. বশিরুল আলম।
প্রাথমিক হিসেবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বরগুনার প্রায় দু’ হাজার সাতশ’ ৭০ হেক্টর জমিতে আউশের বীজতলা, দু’হাজার দু’শ হেক্টর জমিতে রোপণ করা আউশ এবং প্রায় ১৭শ’ হেক্টর সবজি ক্ষেত ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্য ফসলের মধ্যে রয়েছে ডাল, কাঁচা মরিচ, চীনা বাদাম এবং মিষ্টি আলু।