স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, অভিযোগপত্রসহ একটি হত্যা মামলার তথ্য গোপন করে জামিন পাওয়া পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
খুলনার দিঘলিয়ার টিপু শেখ হত্যা মামলার এই পাঁচ আসিামি হলেন- সোহাগ শেখ, সেলিম শেখ, জুয়েল শেখ, লুৎফর শেখ ও আব্দুল্লাহ মোল্লা।
এছাড়া হাইকোর্ট এই পাঁচ আসামির আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামালকে ‘হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে আর কোনো মামলা পরিচালনা করতে নিষেধ করেছেন। এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে যে, কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না।’
তথ্য গোপন ও জালিয়াতির বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতের নজরে আনার পর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার ওই পাঁচ আসামিদের জামিন বাতিল করে আদেশ দেয়।
আদালত আজ তার আদেশে ওই পাঁচ আসামিকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দিয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে আসামিরা আত্মসমর্পন না করলে তাদের গ্রেপ্তার করতে খুলনার এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ মে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ থেকে এই পাঁচ আসামির জামিন হয়েছিল। সেদিন এই পাঁচ আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
আজ আদেশের সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.বশির উল্লাহ। আদেশের পর হাইকোর্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.বশির উল্লাহ বলেন, ‘পাঁচ আসামির আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামালকে ভার্চুয়াল হাইকোকোর্ট বেঞ্চে আর কোনো মামলা পরিচালনা করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে যে, কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না।’
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ আরো বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা এই জালিয়াতির বিষয়ে জানতে পারি। এরপর মামলার এজাহারটি পাঠালে জালিয়াতির বিষয়টা ধরা পড়ে। যে এজাহারটি দাখিল করে জামিন নেয়া হয়েছিল তার সাথে মামলার আসল এজাহারটির কোনো মিল নেই।’
গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পরবিলার টিপু শেখকে অতর্কিত হামলা করে খুন করা হয়। পরে তার ছেলে আলমগীর শেখ থানায় মামলা দায়ের করেন। গত বছর ২১ ডিসেম্বর এই মামলার অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়।