আগেরদিনই ইউরোপ সেরার আসরে একটি জায়গায় লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মঙ্গলবার ভ্যালেন্সিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে ওঠে জুভেন্টাস। জয়ে অনন্য এক মাইলফলক গড়েন সিআর সেভেন। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০০তম জয় পান। একদিন পরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে আরেকটি রেকর্ডে পেছনে ফেলেছেন বার্সেলোনা তারকা।
স্পেনে থাকাকালীন শুরু থেকেই দুজনের লড়াই চলত সেয়ানে সেয়ানে। সাপ-লুডোয় একবার রোনালদো মেসিকে টপকাতেন তো পরক্ষণেই সিআর সেভেনকে পেছনে ফেলতেন এলএম টেন। অদূর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করলে সেই ইঁদুর-দৌড়ে আপাতত ইতি পড়েছে সন্দেহ নেই। তবে মেসি শেষমেশ পুনরুদ্ধার করলেন দ্বি-পাক্ষিক লড়াইয়ের একটা মুকুট।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ ম্যাচে পিএসভি’র জালে বল জড়ানোর সঙ্গে মেসি টপকে যান রোনালদোকে। ৬১ মিনিটে ম্যাচের ডেড-লক কাটানো গোলটি ছিল বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে মেসির ১০৬ নম্বর গোল।
তাতে একটি ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বাধিক গোল করার নিরিখে রোনালদোকে টপকে মেসি চলে এসেছেন শীর্ষে। রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে করেছেন ১০৫টি গোল। রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেয়ায় আপাতত মেসিকে টপকানো আর সম্ভব হবে না পর্তুগিজ তারকার।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড থাকছে রোনালদোর দখলেই। ম্যানইউ, রিয়াল ও জুভেন্টাস, তিন ক্লাবের হয়ে ইউরোপিয়ান অভিজাত টুর্নামেন্টে সর্বমোট ১২১টি গোল করেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে মোসির এটি ১৫ নম্বর গোল। শেষ ১৩ মৌসুম ধরে ১৫টির বেশি গোল করা বিরল ফুটবলার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার ছয়টি গোল হয়ে গেছে।
পিএসভির বিরুদ্ধে একটি গোল করা ছাড়াও ৭০ মিনিটে দলের অপর গোলটির পেছনেও মেসি সক্রিয় ভূমিকা নেন। মেসির ফ্রি-কিকে পা ছুঁয়ে পিএসভি’র জালে বল জড়িয়ে ম্যাচের স্কোরলাইন ২-০ করেন জেরার্ড পিকে। ৮৩ মিনিটে পিএসভির হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন ডি’লং। শেষ পর্যন্ত বার্সা ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে গ্রুপ-বি’র শীর্ষ স্থান নিরাপদ করে।