চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

রেইন ট্রির ব্যবসায় ধস, মদ উদ্ধার হওয়াকে ষড়যন্ত্র বলছে কর্তৃপক্ষ

বনানীতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন হোটেল রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ। হোটেলে মদ উদ্ধার হওয়াকে হোটেলের ভাবমুর্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার হোটেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি জানান হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আদনান হারুন।

সংবাদ সম্মেলনে আদনান হারুন বলেন, হোটেলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে আমাদের সঙ্গে এসব করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা আসার একদিন আগেই মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর তল্লাশি করে কিছুই পাননি, তাহলে তারা কিভাবে মদ পেলেন? আগামীকাল আমাদের তলব করা হয়েছে সেখানেই আমরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরব।

রেইনট্রি হোটেলের এক পরিচালকের সঙ্গে ধর্ষণে অভিযুক্ত সাফাতের ঘনিষ্ঠতা থাকার তথ্য ‘ঠিক না’ বলে জানিয়েছেন আদনান হারুণ। তিনি বলেন, রেইনট্রি’র সেলস্ এন্ড মাকেটিং ডিরেক্টর মাহির হারুণের সঙ্গে আসামি সাফাত আহমেদের কোনো বন্ধুত্ব ছিল না, এমনকি তাদের সঙ্গে আগেও কোনো যোগাযোগ ছিল না।

ঘটনার পরে রেইন ট্রি’র ব্যবসায় ধস নেমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ায় ঘটনাটি প্রচার হওয়ার পর আমাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে। আগামী দুই সপ্তাহের সকল বুকিং বাতিল হয়েছে। এমনকি যারা হোটেলে অবস্থান করছেন তারাও দ্রুত ত্যাগ করছেন। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কর্মচারীদের নিয়ে পথে বসে যাবো।

ধর্ষণের দিন রাতে হোটেলে আপত্তিকর কিছু চোখে পড়েনি উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এড়িয়ে তিনি বলেন, ওই দিন রাতে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধুরা জন্মদিনের পার্টি রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত হোটেলের ছাদে উদযাপন করে। ওই উদযাপনের সময় হোটেলের একজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি আপত্তিকর কোনো কিছুই দেখেননি।

বনানী আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়িতে নিয়ম ভেঙে হোটেলটি চালানোর অভিযোগ করেছে রাজউক। ঘটনার পরে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযানে অবৈধ মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ১৭ মে রেইন ট্রি কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে।

ছবি: রণ মাহমুদ