জাহিদ নামের এক জঙ্গি রুবি ভিলা’র পঞ্চম তলা ভাড়া নিয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। ফ্ল্যাটের অন্যরা জানিয়েছে জাহিদ সকালে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আসতো। ওই রুমের অন্য দু’জনকে তারা বাসা থেকে বের হতে দেখেননি।
শুক্রবার দুপুরে রুবি ভিলার সামনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন: গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর জাহিদ নামের এক জঙ্গি বাড়িটি ভাড়া নেয়। ভাড়া নেওয়ার সময় জানিয়েছিল, সে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। দুই ভাইসহ সে একটি কক্ষে থাকার কথা বলে বাসায় ওঠে। ৪ জানুয়ারি জাহিদ একা বাসায় উঠেছিল। ৮ তারিখ বাকি দুইজন আসে।
ফ্ল্যাটের অন্যরা জানিয়েছে, জাহিদ সকালে বাসা থেকে বের হতো রাতে আসতো। িপরে আসা দু’জনকে তারা বাসা থেকে বের হতে দেখেননি। পঞ্চম তলার জঙ্গিরা যে ফ্ল্যাটে ছিল সেখানে সাত জন ছিল। তিন জঙ্গি একটি কক্ষে থাকতো।
তিনি বলেন: জঙ্গিরা গ্যাসের চুলার ওপরে যে গ্রেনেডটি সেটা বিস্ফোরিত হলে অগ্নিকাণ্ড সহ ভয়াবহ ঘটনা ঘটতো। আমরা গ্যাসের ঘ্রাণ পেয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেই।
মুফতি মাহমুদ জানান: বাড়ির মালিক সাব্বির হোসেন বিমানের ফ্লাইট সহকারী ছিলেন। বাড়ি ভাড়ার বিষয়টি কেয়ারটেকার রুবেল দেখাশুনা করতো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে করে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। আমাদের ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট শেষ হয়েছে। সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অনুসন্ধানে তাদের ব্যাপারে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভবনটি এখন নিরাপদ রয়েছে। বাসিন্দাদের সবাইকে নিরাপদে দোতালায় রাখা হয়েছে। আস্তানা থেকে দুইটি পিস্তল, তিনটি আইইডি বোমা, বিস্ফোরক জেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি লাশের নিচে থেকে একটি গ্রেনেড, গ্যাসের চুলার ওপর থেকে একটি গ্রেনেড ও সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে।নিহত জঙ্গিদের বয়স ২৫ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে।
ছবি: ওবায়দুল হক তুহিন