জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ)
আবেদন মঙ্গলবার খারিজ হলেই শুরু হবে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি। এরপর আইন
অনুযায়ী তিনি শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সে
আবেদনও নাকচ হলে সরকারের নির্দেশনায় কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
করবে।
একাত্তরের শীর্ষ এ অপরাধীর আবেদনটি শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল
বিভাগের কার্যতালিকার ৪ নম্বরে রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃতাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে নিজামীর করা রিভিউ আবেদনের শুনানি হবে জানিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে কার্যতালিকা প্রকাশ করা হয়।
আগের দুই দফা পেছানোর পর গত ১০ এপ্রিল আবারো শুনানি ৩ মে পর্যন্ত মুলতবি করে অাদালত বলেন, ওই দিনই আবেদনের শুনানি হবে। মুলতবির আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না।
সেদিন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, ‘এটি স্পর্শকাতর একটি মামলা, যার নিষ্পত্তির দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশ।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিপক্ষে নিজামীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয় গত ১৫ মার্চ। ওইদিনই ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানো হয় কারাগারে। পরের দিন তা পড়ে শুনানো হয় কাশিমপুর কারাগারে থাকা নিজামীকে।
আইন অনুযায়ী রিভিউ আবেদনের শেষ সময় ছিলো ৩০ মার্চ। তবে একদিন আগে করা ৭০ পৃষ্ঠার আবেদনে ৪৬টি কারণ দেখিয়ে নিজামীর পক্ষে রায় পুনর্বিবেচনা চাওয়া হয়।
নিজামীর মতো মানবতাবিরোধী অপরাধী কেনো খালাস পেতে পারেন না, সে বিষয়ে অবশ্য এরইমধ্যে যুক্তিসহ ব্যাখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
জামায়াতের এ শীর্ষ নেতাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি রায় দেন আপিল বিভাগ। এর আড়াই মাসের মাথায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
একশ ৫৩ পাতার রায়ে গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন অভিযোগে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।