এ মাসেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) খোলার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার দুপুরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে দাবি তুললে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু তাদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ছাত্রদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে কত দ্রুত হল খোলা যায় তার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সরকার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে কমপক্ষে ৭০-৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করলে ক্যাম্পাস বা হল খোলা যাবে। তবে যে শিক্ষার্থীরা এনআইডি কার্ড ছাড়া টিকার নিবন্ধন করতে পারছে না, তারা জন্মনিবন্ধন দিয়ে টিকা গ্রহন করতে পারবে।
উপাচার্য আরও বলেন, ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে ইতোমধ্যে ইউজিসি ও শিক্ষামন্ত্রণালয় মিটিং করেছে। তবে আমাদের ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা ৫০ শতাংশের কম টিকার আওয়তায় এসেছে। যার ফলে চলতি মাসে খোলার বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। ইউজিসি থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা তথ্য দিলে, পরে সিন্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে। তবে শিক্ষার্থীদের যতোটা না টিকা গ্রহণ করার বিষয়ে আগ্রহ আছে, তার চেয়ে বেশি আগ্রহ হল ও ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে।
শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাস খোলার দাবি জানিয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সেসময় তারা আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলোর হলো: ক্যাম্পস ও হল খুলে দিতে হবে, মেস মালিকরা যেন কোনভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সেজন্য মেস মালিক সমিতির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, হল খোলার পর কোন শিক্ষার্থীকে যেন ভ্যাকসিনের ২য় ডোজ গ্রহণের ঝামেলায় পরতে না হয়, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে ভ্যাকসিন বুথ স্থাপন করা।
ছাত্র ফেডারেশনের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে চারুকলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাকিলা খাতুন, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ, রেজাউল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে তারা উপচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সাথে সাক্ষাৎ করেন।