দুই সেঞ্চুরিতে গড়া ৩৩০ রানের বিশাল পুঁজি নিয়েও প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে পেরে উঠল না ব্রাদার্স ইউনিয়ন। চার ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে ৭ বল হাতে রেখেই রানপাহাড় ডিঙিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। পথে হারাতে হয় ৫ উইকেট।
অলক কাপালি ৬৫ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতীয় রিক্রুট অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৯০ রান করে আউট হন। এনামুল ৫৪ ও আল-আমিন করেন ৫২ রান। ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদুল ইসলাম।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার সকালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মিজানুর রহমান আউট হন সেঞ্চুরি স্পর্শ করে। ফজলে মাহমুদ রাব্বি অপরাজিত থাকেন ১৪৯ রানে। ৩৭ বলে ৬১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তাতে ব্রাদার্স ২ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে তোলে ৩৩০ রান।
মিরপুরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসন চালায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ১৯ রানের মাথায় সালমান হোসেনের (১৩) উইকেট হারালেও আরেক ওপেনার এনামুল হক ও ঈশ্বরণ মিলে গড়েন ৭৫ রানের জুটি।
দলের রান যখন একশ ছুঁইছুঁই, মোহাম্মদ শরিফের বলে ক্যাচ তুলে দেন এনামুল। ৪৭ বলে ১০ চারে করেন ৫৪ রান। আল-আমিন নেমে রান তুলতে থাকেন দ্রুতগতিতে। ৪৭ বলে ৫২ করে যখন বাঁহাতি পেসার সাজেদুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন, প্রাইম ব্যাংকের রান ২৪.৫ ওভারে ১৭৩।
পরে ঈশ্বরণের সঙ্গে অলক কাপালির ১০১ রানের জুটি প্রাইম ব্যাংকের জয়ের পথ আরও সহজ করে দেয়। দলীয় ২৭৪ রানের মাথায় নাঈম ইসলামের বলে ৯০ রানে কাটা পড়েন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার ৯৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও একটি ছয়ের মার।
অলকের সঙ্গে নাহিদুলের ষষ্ঠ উইকেট জুটি পরে প্রাইম ব্যাংককে নিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। ৫ উইকেটের জয়ে চলতি লিগে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে তারা।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জুনায়েদ সিদ্দিকের উইকেট হারায় ব্রাদার্স। ৭ রান করে রানআউটের শিকার হন এ বাঁহাতি ওপেনার। শুরুতে হোঁচট খেলেও মিজানুর ও ফজলে রাব্বি ১৯৩ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন দলকে।
সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই অফস্পিনার নাঈম হাসানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন মিজানুর। ১০৯ বলের ইনিংসে ছিল আটটি চার ও পাঁচটি ছয়ের মার।
শেষ ১২ ওভারে ১২৭ রান যোগ করেন ফজলে রাব্বি ও ইয়াসির মিলে। অবিচ্ছিন্ন থেকে তাদের শেষের লড়াই এনে দেয় ৩৩০ রানের পুঁজি। ১৪৭ বলে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ফজলে রাব্বি। এ বাঁহাতির ইনিংসে ছিল ১৩টি চার ও পাঁচটি ছয়ের মার। হেরেও ম্যাচসেরা হয়েছেন ব্রাদার্সের এ ব্যাটসম্যান। ইয়াসিরের ঝড়ো ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়ের মার।