দু’ বছর পর এখনও নিহতদের স্বজন আর আহত শ্রমিকদের কান্নার রোল সেই রানা প্লাজায়। এখনও যারা তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে পাননি তারা আসেন প্রিয়জনের হারিয়ে যাওয়া জায়গাটি দেখতে।
রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে সাভারের রানা প্লাজার স্থানটিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে সর্বস্তরের মানুষ। নিহতদের স্বজন এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা, ভবন মালিক সোহেল রানাসহ জড়িতদের দ্রুত বিচার এবং ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর উপকন্ঠে সাভার বাস্ট্যান্ডের কাছে ৮তলা ভবন রানা প্লাজা ধসে পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে। নিহত হয় ১ হাজার ১শত ৩৫ জন। জীবিত উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪শত ৩৮ জনকে। ৪শত ৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয় পোশাক শ্রমিক রেশমাকে।
নিহতদের স্মরণে রানা প্লাজা এলাকা এবং যেখানে নিহতদের মরদেহ রাখা হতো সেই অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোয়া হয়েছে। রানাপ্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহতদের চিকিৎসা দিতে সব কিছু নিয়ে পাশে ছিলো যে প্রতিষ্ঠান, সেই এনাম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডাক্তার এনামুর রহমান এমপিও ছিলেন এ সময়।
এসময় তিনি বলেন, রানা প্লাজা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আগামী দিনে এগিয়ে যেতে হবে। সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করে যেনো এখানে হতাহত শ্রমিকেরা উন্নত জীবন-যাপন করতে পারে, সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। আর কোন শ্রমিকের সন্তান যেন শ্রমিক না হয়, তাদেরকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
রানা প্লাজা এলাকায় নিহতদের স্বজন এবং আহত শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দেয় শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন। নিহতদের শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গে মিছিল, মানববন্ধন আর প্রতিবাদ সভা করেছেন তারা।