গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদকের গডফাদারদের ধরা হবে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান এবং ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
শনিবার রাতে ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযান রাস ড্রাইভে মাদক সেবন ও বিক্রির দায়ে ৫২ জনকে আটক করা হয়। পরে করাইল বস্তির সামনে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি’র প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, মহখালী-গুলশানের করাইল বস্তি থেকে ৩০ জন, কমলাপুরের টিটিপাড়া বস্তি থেকে ২২ জনসহ মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে।
মাদকবিরোধী অভিযানে মূল হোতারা ধরা পড়ছে না কেন জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন: মাদক যেখানে বিক্রি হয়, সেখানে গডফাদাররা থাইকেন না। তাদের ধরতে হলে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য দরকার। গডফাদারদের ধরতে গোয়েন্দা তথ্যের উপর নির্ভর করা হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তাদেরকে ধরা হবে।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য, কাউন্টার টেরোরিজমের উপ-পুলিশ কমিশনার (স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ) প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ অন্যরা।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে এক সঙ্গে মহাখালী-গুলশানের করাইল বস্তি ও কমলাপুর রেল স্টেশন, টিটিপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান ‘রাস ড্রাইভ’ পরিচালিত হয়।
সেসময় এক মণ গাঁজা, ৩০ হাজার ইয়াবা এবং বিপুল পরিমাণ দেশি মদ ও ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে ।
অভিযানে এক হাজার করে মোট দুই হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে চালানো হয় মাদকবিরোধী অভিযান। দুই বস্তির অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, ডগ স্কোয়াড, রায়ট কার, সোয়াট সদস্যরাও যোগ দেন।