চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালের মহড়ায় বোলিংয়ে আসার আগেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রশিদ খান। যেভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন, দেখে মনে হচ্ছিল এ লেগস্পিনারের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালও হয়ত শেষ! কিন্তু সবাইকে অবাক করে সেই ম্যাচেই মাঠে নামেন, বোলিংও করেন আফগান অধিনায়ক।
কেনো ঝুঁকি নিয়েছেন সে প্রশ্নে বেরিয়ে এল অনুপ্রেরণার এক গল্প। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে রশিদ বললেন, ‘আমার মনে হয় বোলিং করা উচিত ছিল না। কিন্তু যখন দলের আপনাকে প্রয়োজন, তখন তো থাকতেই হবে। বিশেষ করে যে দেশ থেকে আমরা এসেছি, আমরা আসলে নিজেদের প্রতি তেমন একটা মনোযোগী নই। যখন এটা দেশের ব্যাপার হয়ে ওঠে, নাগালের মধ্যে না থাকলেও আমরা নিজেদের নিবেদিত করতে পারি।’
‘আমরা যেমনটা দেখেছিলাম, আসগর আফগানকে অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচার করানোর চারদিন পরেই জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মাঠে আসতে এবং সে বলতে যে, ‘‘না, আমি খেলব!’’ তরুণরা এখান থেকেই শিখেছে। আমার যদি ১০ ভাগ সুযোগ থাকে খেলার, অবশ্যই তা আমি করব। কারণ আমি নিজের দেশকে ভালোবাসি এবং আমার দেশটি জিততে চায়। নিজস্ব ব্যাপারের চেয়ে এটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
চোট নিয়ে খেলার পেছনে আরও একটি কারণ হল নিজেকে বাজিয়ে দেখা। রশিদ ফাইনালে বল করতে পারবেন কিনা সেটিই পরখ করেছেন চট্টগ্রামে সবশেষ ম্যাচে।
‘এর (চোট নিয়ে বোলিং) পেছনে মূল কারণ ছিল নিশ্চিত হওয়া যে, আমি বোলিং করতে পারব কি পারব না। ফিজিও এবং কোচ চাননি আমাকে মাঠে যেতে দিতে। কিন্তু আমিই ‘‘না’’ বলেছি। নিশ্চিত করতে চাইছিলাম, ইনজুরিটা হয় আরও বড় হবে কিংবা পরবর্তী খেলার আগে উন্নতির দিকে যাবে। দুই ওভার বোলিং করলাম, ভালোই লাগল। এরপর ফিল্ডিংয়ে আমার কিছু সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যা এটার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। এখন আমার আশা আগামীকালের মধ্যে যেন ঠিকঠাক হয়ে যায়।’