নির্বাচকরা ফেলে দিয়েছিলেন বাতিলের খাতায়। বয়সের দিকে আঙুল তুলতেন কেউ কেউ। ৩৫ বছর ২৩৮ দিনের সেই আব্দুর রাজ্জাক তবু দমে যাননি। চার বছর বাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আলো ছড়িয়েছেন। এমন ফিরে আসা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও দৃষ্টান্ত বললে খুব একটা বাড়াবাড়ি হওয়ার কথা নয়।
রাজ্জাক নিজেও মনে করছেন এই বয়সে দলে ঢুকে এমনভাবে পারফর্ম করা দৃষ্টান্ত, ‘অবশ্যই আমি এটা মনে করি। এখনকার সময়ে ক্রিকেটের যে অবস্থা…ফিটনেস, খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বোর্ডকে ধন্যবাদ দেওয়ার মতো কাজ হয়েছে। এমন সময় আমাকে নেওয়া হয়েছে, এর মানে হল কারও সময় কখনোই শেষ হয়ে যায় না।’
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কোচ হয়ে আসার আগে থেকেই জাতীয় দলে অনিয়মিত ছিলেন রাজ্জাক। তিনি বাংলাদেশে আসার পর রাজ্জাকের জন্য জাতীয় দলের দরজা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী চেষ্টা করেও তাকে দলে নিতে ব্যর্থ হন।
রাজ্জাক তবু নিজেকে ফিট রাখতে নিরন্তর পরিশ্রম করে যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মৌসুমের পর মৌসুম উইকেটক্ষুধা ধরে রাখেন। কিছুদিন আগে দেশের একমাত্র বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের মালিক হন।
হাথুরুসিংহে টাইগারদের দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রথম টেস্ট সিরিজে হঠাৎ রাজ্জাকের ডাক পড়ে। কিন্তু প্রথম ম্যাচে জায়গা হয়নি। অবশেষে সুযোগ আসে দ্বিতীয় টেস্টে। সেখানে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ২২২ রানে অলআউট করতে রাজ্জাক নিয়েছেন চার উইকেট। তার দাপুটে বোলিংয়েই শুরু থেকে চাপে পড়ে দলটি।