নেত্রকোনার রাজাকার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
হত্যা, নির্যাতনসহ ৬ অভিযোগের মধ্যে ৫টি প্রমাণের দাবি করে আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৫ সালের ২ মার্চ নেত্রকোনার রাজাকার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে ৬টি ঘটনায় অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে নেত্রকোনার আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান হত্যা, ফুটবল খেলোয়াড় দবির হত্যা, আরেক জায়গায় ৭ জনকে অপহরণ করে জনকে হত্যা, হিন্দু পরিবারের বাড়ি দখল করে ক্যাম্প স্থাপন ও শিক্ষক বদিউজ্জামান মুক্তারসহ ৭ জনকে অপহরণ করে ৬ জনকে হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ২৩ জনের সাক্ষ্যে এইসব অভিযোগ প্রমাণ করে রাষ্ট্রপক্ষ। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে রায় ঘোষণা অপেক্ষমান রাখে ট্রাইব্যুনাল-১।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, ‘আগামীকাল আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছে আদালত। আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে তাদের আদালতে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
আসামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণিত হয়েছে দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে সাক্ষী ও দালিলিক প্রমাণ ট্রাইব্যুনালের কাছে পেশ করতে পেরেছি। তাই আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রত্যাশা করছি।’