এখনও এরশাদের অনুপস্থিতিতে রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় জাপা সংসদীয় দল। তারা বলেছেন, আগামী কাউন্সিলেও এই লক্ষ্যই থাকবে তাদের। সরকার থেকে সরে আসার ব্যাপারেও তাদের কোনো ভাবনা নেই। নতুন কো-চেয়ারম্যান বলেছেন, নির্দেশ দিলেই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হবে, না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
রোববার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় নতুন কো-চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবকে সমর্থন দেয়ার পর নতুন কাউন্সিলের দিন ধার্য করা হয়। তবে সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ এবং তার অনুসারী হিসেবে পরিচিতরা এই সভায় না এসে তাদের বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তড়িঘড়ি করে প্রেসিডিয়াম সভা তাদেরকে এড়িয়ে যেতেই ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। বলেছেন, চেয়ারম্যান এরশাদের অনুপস্থিতিতে দলের দায়িত্বে রওশনকেই চান তারা।
নতুন কো-চেয়ারম্যান জি. এম. কাদের বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সরকার থেকে জাতীয় পার্টির সদস্যদের সরে আসার সিদ্ধান্তে প্রেসিডিয়াম সভায়ও একমত হয়েছেন সবাই।
তবে, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির দায়িত্বে থাকা তাজুল ইসলাম বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনাই হয়নি। আপাতত মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। এখন তাদের চিন্তার বিষয় ভিন্ন কিছু।
‘পদত্যাগ করলে দল ওপরে উঠে যাবে নাকি? দলটাকে এখন গঠন করার জন্য এটাই সুযোগ। এই সুযোগটা আমাদের সবার গ্রহণ করা উচিৎ,’ বলেন তাজুল ইসলাম।
জি. এম. কাদের বলছেন, হাইকমান্ডের নির্দেশ দিলে পদত্যাগ করতেই হবে। দলের নীতিনির্ধারক মহলের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটাই সবার জন্য প্রযোজ্য হবে এবং তাদের মানতে হবে।
রওশন এরশাদের পক্ষের সদস্যরা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন না, এ ব্যাপারে কী করণীয় হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে নতুন কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাহলে আমাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক একে শৃঙ্খলাবিরোধী ধরা হলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নেতারা যতই বলুক দলের ভেতরে কোন্দল নেই, এমন পাল্টপাল্টি বক্তব্যেই স্পষ্ট জাতীয় পার্টিতে অশান্তি চলছে।