যুক্তরাষ্ট্রে আগুন দেয়ার পর এবার কানাডার একটি মসজিদে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আর সিবিসি নিউজ জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা পাঁচ বা তার বেশি, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। দেশটির কুইবেক শহরের ইসলামিক সেন্টার মসজিদে মাগরিবের নামাজের সময় এই গুলি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ইরাক, সিরিয়াসহ মোট ৭টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো শরণার্থীর অনুপ্রবেশ ৯০ দিনের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে শনিবার কঠোর অভিবাসন নীতির নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি শরনার্থী নথিকরণ কার্যক্রম ১২০ দিনের জন্যও প্রত্যাহার করেন।
মুসলিমবিরোধী ট্রাম্পের নির্বহী আদেশের কয়েক ঘণ্টার মাথায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য টেক্সাসের একটি মসজিদে আগুন দেয়া হয়। এতে মসজিদটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারির পরদিনই যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালানো অভিবাসী জনগণকে নিজ দেশে স্বাগত জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার স্বাগত জানানোর একদিন পরই মসজিদে গুলির ঘটনা ঘটলো।
উইলিয়াম নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, অন্তত তিনজন বন্দুকধারী ৪০ জন মানুষকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে। এই ঘটনাকে বর্বর কাজ বলে উল্লেখ করেছেন মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ জানগুই।
সেখানকার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। সিবিসি নিউজ কানাডা জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আর মসজিদসহ বিশাল এলাকা সিল করে দিয়ে তার ঘিরে রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সও সেখানে প্রবেশ করেছে।
গত জুনে পবিত্র রমজান মাসে একটি শূকরের মাথা এই মসজিদের দরজার সামনে রেখে আসা হয়েছিল।
কুইবেকে সম্প্রতি ইসলাম বিদ্বেষ বেড়েই চলছে। ২০১৩ সালে নারীদের নেকাব নিষিদ্ধ নিয়ে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের পর থেকে ইসলাম বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করছে। ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে হামলার পরের দিন কুইবেকের প্রতিবেশী রাজ্য ওন্টারিওতে একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।