ব্রিটিশ নারীদের অর্ধেক এবং পুরুষদের প্রতি পাঁচজনে একজন কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হন। সম্প্রতি বিবিসির একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
কর্মক্ষেত্রে যেসব নারী কখনো না কখনো যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ এই বিষয়ে কখনো কারো কাছে অভিযোগ করেননি। আর আক্রান্ত পুরুষদের ৭৯ শতাংশ বিষয়টা সবসময় নিজের মধ্যেই রেখেছেন।
হার্ভে ওয়েনিস্টনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আসার পর এ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করে বিবিসি। সেসব নারী ও পুরুষ যারা কখনো না কখনো যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের অনেকেই ‘মি টু’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নিজেদের অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
গবেষণাটি পরিচালনার জন্য ২,০০০ মানুষের সঙ্গে কথা বলে গবেষকদল। তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী ও ২০ শতাংশ পুরুষ কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, খারাপ মন্তব্য ইত্যাদি সমস্যার শিকার হয়েছেন।
হয়রানির শিকার মানুষদের মধ্যে কেউ কেউ আজেবাজে জোকসের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অন্তত সাতজনে একজন নোংরাভাবে গায়ে হাত দেওয়ার শিকার হয়েছেন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই বস বা সিনিয়র ম্যানেজার দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। হয়রানির শিকার নারীদের ১০ জনে অন্তত ১ জন নারী চাকরি বা কর্মক্ষেত্র ছেড়ে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুরুষ জানান, তিনি তার নারী বস দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন। ‘আমার পোশাক নিয়ে এবং আমি দেখতে কেমন সেটা নিয়ে তিনি বারবার মন্তব্য করতেই থাকেন। আমি নারীর কোন বিষয়টা পছন্দ করি সেটা নিয়েও তিনি কথা বলতেন।’
তিনি যোগ করেন, বিষয়টা জানতে পেরে সবাই হাসছিলো, বিশেষ করে নারী সহকর্মীরা। কিন্তু আমি খুবই নোংরা ও অস্বচ্ছন্দ বোধ করছিলাম। হতাশাতেও ডুবে গিয়েছিলাম। ফলে হতাশা এবং উদ্বেগ ধরেছিল আমাকে।
‘মি টু’ ক্যাম্পেইনের উদ্যোক্তা তারানা বুর্কে বলেন, মনে হচ্ছে না খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে। এটা শুধু একটি মুহূর্তের কাজ নয়, এটি একটি আন্দোলন। আমরা কথা বলতেই থাকবো, আমাদের হয়রানির গল্প বলতেই থাকবো যতক্ষণ না আলোর পথ দেখবো।