যমুনা নদীর পানির তীব্র স্রোতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক ভেঙে সকল ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে ১৫ মিটার সড়ক ভেঙে প্রবল বেগে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি এলাকার এ সড়ক ভেঙে যায়।
ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সকল প্রকার সড়ক যোগাযোগ। এছাড়াও ওই সড়কের অন্ততপক্ষে দশটি স্থানে বন্যার পানি লিকেজ করায় ওই অংশও ঝুঁকির মাঝে রয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে তাড়াই এলাকার বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় দশটি গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে বন্যার পানি প্রবেশ করে পৌরসভার টেপিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ভাঙনের কবলে পড়ে। স্কুল মাঠ গভীর খাদে পরিণত হওয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ৩ তলা ও একতলা বিশিষ্ট ভবন। এছাড়াও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি পাকা ভবন।
স্থানীয়দের অভিযোগ পাউবো, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে তাড়াই বাঁধটি বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করেও তা রক্ষা করতে পারেনি। সংশ্লিষ্টরা যদি এর আগে তাড়াই এলাকার বাঁধটি রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তাহলে এদিকে কোন বন্যার পানি ঢুকতে পারতো না। সেক্ষেত্রে এ সড়ক ভাঙার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। তারা শেষ সময়ে চেষ্টা করেছে যা কোনো কাজেই লাগেনি।
অন্যদিকে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার কয়েক শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম। বন্যাকবলিত মানুষজন, খাদ্য ও বাসস্থান সংকটে পড়েছে। এছাড়াও গবাদিপশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
বন্যার্তদের মাঝে ২০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণের কথা জানালেও অধিকাংশ বানভাসি মানুষ ত্রাণ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হয়েছে।