অনেকদিন আগে থেকে কাজ করলেও ২০১৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে সক্রিয় হয় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা। ঐ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইসলামবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন সংগঠনটির বর্তমান প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি। ‘বাংলাদেশ: ম্যাসাকার বিহাইন্ড এ ওয়াল অব সাইলেন্স’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় ওই আহ্বান জানান তিনি।
জাওয়াহিরির ওই ভিডিও বার্তায় ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্তরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ওপর হামলার স্থির চিত্র দেখানো হয়েছিল। এরআগের বছরও টুইন টাওয়ারের হামলার বর্ষপূর্তিতে নিজের বক্তৃতায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন জাওয়াহিরি।
এরপর ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার বর্তমান প্রধান সংগঠনটির ভারতীয় শাখা খোলার ঘোষণা দেন। তার ওই ঘোষণায়ও ছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। ভিডিও বার্তায় জাওয়াহিরি বলেছিলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠাকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও ভারতের আসাম, গুজরাট, আহমেদাবাদ, জম্মু ও কাশ্মিরের মুসলমানদের জন্য খুশির সংবাদ।
জাওয়াহিরির ঘোষণাকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নেয় বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেসময় বেশ কয়েক দফায় বৈঠকও করে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনী।
বাংলাদেশ বিষয়ে আল-কায়েদার দেয়া প্রথম ঘোষণার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠনকে ঘাটি গাড়তে দেওয়া হবে না।
অভিজিতকে হত্যার দায় স্বীকার করে আল-কায়েদার ঘোষণার পর বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার সঙ্গে আরও এক দফা বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।