চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। একই রাতে হেরে গেছে সিটির নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই ইংলিশ জায়ান্টের ভিন্ন ফলের রাতে ড্র করেছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে হফেনহেইমকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানসিটি। ভালেন্সিয়ার মাঠে ওই ২-১ গোলের ব্যবধানেই হেরেছে ম্যানইউ। আর আয়াক্সের মাঠে ৩-৩ গোলে ড্র করে বায়ার্ন। তবে হার-ড্রতে শেষ ষোলোয় যাওয়া আটকায়নি বায়ার্ন-ম্যানইউ’র।
ম্যাচের ১৬ মিনিটেই ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার আন্দ্রেজ ক্রামারিচের গোলে নিজেদের মাঠে পিছিয়ে পড়ে ম্যানসিটি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে (৪৫ মিনিট) সমতা ফেরান লেরয় সানে। বিরতির পর জার্মান দলটিকে চেপে ধরে পেপ গার্দিওলার দল। গোল পেতেও দেরি হয়নি। ৬১ মিনিটে দল আর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জার্মান উইংগার সানে। তার এই গোলই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়।
ছয় ম্যাচের চারটিতে জয়, একটি করে হার ও ড্রতে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘এফ’র শীর্ষে থেকেই শেষ ষোলোতে গেল ম্যানসিটি। এই গ্রুপ থেকে নকআউট নিশ্চিত করা অন্য দল অলিম্পিক লিঁও। পাঁচ ম্যাচ ড্র করে শেষ ষোলোতে ফরাসি দলটি। ছয় ম্যাচের একটিতেও অবশ্য হারেনি তারা। পাঁচ ড্রয়ের সঙ্গে এক জয়ে তাদের পয়েন্ট ৮।
গ্রুপ ‘এইচ’র দ্বিতীয় দল হিসাবে পরবর্তী রাউন্ডে ম্যানইউ। এদিন তারা অ্যাওয়ে ম্যাচে হারে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে । সোলারের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় স্বাগতিক ভ্যালেন্সিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানইউ’র ফিল জোন্স নিজেদের জালে বল জড়ালে ব্যবধান বেড়ে যায় স্প্যানিশ দলটির। শেষদিকে র্যাশফোর্ড ব্যবধান কমান। ফলে জিতেও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় ভ্যালেন্সিয়াকে। ছয় ম্যাচে চার জয় ও দুই হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপে শীর্ষে জুভেন্টাস। ছয় ম্যাচে তিন জয়, দুই হার ও এক ড্রতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয় ম্যানইউ।
অন্যদিকে গ্রুপ ‘ই’ থেকে ইতিমধ্যেই পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছিল বায়ার্ন এবং আয়াক্স। কিন্তু শেষ ম্যাচের পরই জানার উপায় ছিল কে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। নাটকীয়ভাবে ম্যাচ শেষপর্যন্ত ৩-৩ গোলে সম্পূর্ণ হয়। দু’পয়েন্টে এগিয়ে থাকার সুবাদে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।
রাতের অন্য ম্যাচে এথেন্সকে ১-০ হারায় বেনফিকা। তবে জিতেও বিদায় হয়েছে তাদের। শাখতার দোনেস্ক ও লিঁও ১-১ গোলে ড্র করে।