যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার এরিনায় হামলাকারী সালমান আবেদিকে ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে আগেই ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৫-এর কাছে খবর ছিল। কিন্তু ওই সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল এবং আগে সতর্ক করার পরও কেন হামলাটি হলো, সেটিই এখন খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
কেন্দ্রীয় প্রশাসন স্বীকার করেছে, গত ২২ মে হওয়া হামলার আগেই ২২ বছর বয়সী এই আত্মঘাতী হামলাকারী সম্পর্কে স্থানীয় একাধিক অধিবাসীর কাছ থেকে যে সতর্কবাণী পাওয়া গিয়েছিল, এমআই৫ সিকিউরিটি সার্ভিস আগে সেগুলোই দেখছিল যাচাই করে।
তবে হামলা হওয়ার পরে বেরিয়ে আসে যে, ২২ তারিখের আগেই তিনটি ভিন্ন ঘটনায় সালমানের চরমপন্থি দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। সে কারণেই তার নামে সতর্কবার্তা এসেছিল এমআই৫-এর কাছে।
ম্যানচেস্টার এরিনায় পপ কনসার্টে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হয়। আহত হয় মোট ৬৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৭ জন শিশু। এ ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৪ জায়গায় অভিযান চালিয়েছে এবং জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৩ জন বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
ম্যানচেস্টার হামলাকারী সম্পর্কে আগে পাওয়া তথ্য কীভাবে অবজ্ঞা করা হয়েছে, সেটি খুঁজে বের করতে এমআই৫ একটি ‘ঘটনা পরবর্তী তদন্ত’ চালু করেছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রীসহ এই গোয়েন্দা সংস্থাটির তদারকির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের জন্য আলাদা করে এটি প্রতিবেদনও তৈরি করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সদরদপ্তর হোয়াইটহলের এক কর্মকর্তা এর আগে জানান, সালমান আবেদি সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তালিকায় ছিল। তবে তাকে ঝুঁকি হিসেবে ‘বিবেচনার যোগ্য’ হিসেবে এমআই৫ এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলো রেখেছিল।
সালমান ১৬ বছর বয়সে তার বাবার সঙ্গে ছুটির সময় গাদ্দাফি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। তবে ম্যানচেস্টার কলেজের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী হটলাইনে যোগাযোগ করে তার চরমপন্থি দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে জানানো হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন ওই সময় তার পরিচিত দুই ব্যক্তি।