চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মোস্তাফিজ ইডেনে খেলবেন কিনা জানেন না মুমিনুল

যেখানে ভারত তিন পেসার খেলিয়ে সফল, সেখানে বাংলাদেশ খেলিয়েছে দুই পেসার। স্বাগতিক পেসাররা যখন টপাটপ উইকেট শিকারে ব্যস্ত, তখন রাহিকে যোগ্য সঙ্গ দেয়ার নেই কেউ। ইবাদত ভালো বল করলেও উইকেট তুলতে পারেননি। এদুজকে যিনি সহযোগিতা দিতে পারতেন, সেই মোস্তাফিজ একাদশেই নেই। বাড়তি পেসার না খেলানোর আফসোস বাড়িয়েছে সামি-ইশান্তদের সাফল্য। ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টে টাইগারদের পেস আক্রমণটা কেমন হবে? সে বিষয়ে অবশ্য এখনই কিছু বলতে পারলেন না অধিনায়ক মুমিনুল।

ইন্দোর টেস্টের শুরু থেকেই বাংলাদেশের রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে সমালোচনা চলছে। ম্যাচের আগে থেকেই যখন বলাবলি হচ্ছিল উইকেট হবে পেসার সহায়ক, তখন সফরকারী একাদশে দুজন পেসার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুই স্পিনার দেখেও বিশ্লেষকদের চক্ষু চড়কগাছ! ম্যাচের আগেরদিন যেখানে মোস্তাফিজকে নিয়ে সতর্ক হওয়ার কথা বলেছিলেন ভারত অধিনায়ক কোহলি, ম্যাচে সেই বোলারকেই বাইরে বসিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

টি-টুয়েন্টির বিবর্ণ ফর্ম নাকি টেস্ট খেলতে নামলেই চোটে পড়ার প্রবণতা- ঠিক কী কারণে মোস্তাফিজ দলের বাইরে থাকলেন সেটা জানা গেল না। ইডেনের ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টেও এ বাঁহাতি পেসারের জায়গা হবে কিনা সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারলেন না মুমিনুল, ‘মোস্তাফিজ খেলবে কিনা, এখনও সেটা বলা কঠিন।’

ইন্দোরে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে টেনেটুনে করেছে ২১৩। ম্যাচ হেরেছে ইনিংস ও ১৩০ রানে। এমন হারের পর যা হওয়ার তাই হচ্ছে, চারিদিক থেকে ধেয়ে আসছে সমালোচনা। হারের পর অবশ্য অতীত অধিনায়কদের মতো ইতিবাচক কিছুই খুঁজতে চাইলেন প্রথমবারের টেস্ট নেতৃত্ব দেয়া মুমিনুল। সঙ্গে দোষটা দেখছেন ব্যাটসম্যানদেরই।

‘মনে হয় আমরা ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছি। হুমকি হয়তো ছিল, নইলে ওদের যে তিনজন বোলার আছে তাদেরকে নিয়ে ভারত এখন বিশ্বের এক নম্বর বোলিং দল। এখানে বড় একটি হুমকি ছিল, আমরাও সেভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।’

‘এরমধ্যেও ইতিবাচক দিক আছে। মুশফিক খুব ভালো খেলেছেন দুই ইনিংসেই। লিটন ভালো খেলেছে। মিরাজও ভালো করেছে আজ। তবে আমরা দল হিসেবে খেলতে পারিনি। জুটি করতে পারিনি। এটা খুব ভালো একটা দলীয় পারফরম্যান্স নয়।’

শনিবারের পরাজয় ভুলে এবার সফরকারীদের সামনে ইডেনে গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ। সেদিকেই দ্রুত মনোযোগ ফেরাতে চান মুমিনুল, ‘আমার কাছে মনে হয় কৃত্রিম আলোর নিচে যতটুকু প্রস্তুতি নেয়া যায় অতটুকুই ভালো। তবে আমরা যে সুইংয়ে খেলেছি, এরচেয়ে বেশি সুইং মনে হয় না হবে। অনেকবেশি সুইংয়ে ভালো প্রস্তুতি হয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়। হয়তো একটু চ্যালেঞ্জ থাকবে, চ্যালেঞ্জটা একটু ভালোভাবে নেয়া উচিত। ইতিবাচকভাবে নিতে হবে।’