‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে দেশের সর্বস্তরের জনগণের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ‘মোবাইল ফোনে’র উপর কর হ্রাসের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)’। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের সুষ্ঠু, সুন্দর এবং দিকনির্দেশনাপূর্ণ বাজেট (২০১৫-২০১৬ অর্থ বছর) পরিবেশনের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছে দেয়ার জন্য এ ধরনের পরিকল্পিত বাজেটকে আমরা স্বাগত জানাই।
তবে এ বছরের বাজেটে দেশের মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারে স্বস্তিমূলক কোনো বার্তা আসে নি। আমরা বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী দেশগুলোর মতো এদেশেও মোবাইল হ্যান্ডসেটের উপর কর, মূসক ও সারচার্জসহ ৫ থেকে ১০% এর মতো (যা বর্তমানে মোট ২১.৭৫% হিসেবে আরোপিত রয়েছে।)একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাই।
এতে আরো বলা হয়, আমাদের বিনীত অনুরোধ, যেহেতু বাংলাদেশের সর্বস্তরে ইন্টারনেট সেবা ছড়িয়ে দিতে স্মার্টফোনের বিকল্প নেই, সেহেতু মোবাইল হ্যান্ডসেটের উপরে আরোপিত কর সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এলে তাতে দেশের মানুষের পক্ষে সকল প্রকার ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দেয়া নিঃসন্দেহে আরো সহজ এবং গতিশীল হবে।
বিএমপিআইএ’র বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’র ঘোষণা জনগনের আশার এক নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
নীতিমালার আলোকে বাংলাদেশে বর্তমানে ১২ কোটি ৩৩ লক্ষ মোবাইল গ্রাহক তথ্য প্রযুক্তির আওতায় এসেছে। এছাড়া বর্তমানে ৪ কোটিরও উপরে বাংলাদেশের মানুষ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। যার মধ্যে ৯৫% এর বেশি গ্রাহক মোবাইল এর মাধমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সরকারের ‘তথ্য বাতায়ন’ প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের যে কোনো স্থানে বসে এই ওয়েব পেজ এ দেয়া সকল তথ্য সেবা পেতে পারেন। এই সেবা সমূহ দেশের জনগনের কাছে পৌঁছে দিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মাধ্যম হছে সাশ্রয়ী স্মার্টফোন এবং মোবাইল অপারেটরদের দেয়া থ্রি-জি ইন্টারনেট সেবা বলে বিবৃতে তুলে ধরা হয়।