চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মেহেদির গাঢ় রঙ পেতে

একটা সময় ঈদের আগের দিন মেয়েরা দল বেঁধে মেহেদি বাঁটতে বসতেন। সেই মেহেদি আবার পরিবারের সবাই মিলে কাঠি দিয়ে নকশা করে দিতেন। কেউ ফুল আঁকতেন আবার কেউ হাতের তালুতে গোল করে মেহেদি লাগাতেন। কারও পছন্দ ছিল চাঁদ-তারা। এরপর শুকানোর জন্য অপেক্ষা। শুকানোর পর কার রঙ বেশি হয়েছে তা নিয়ে চলতো প্রতিযোগিতা।

সেই দিন আর নেই। পাতা মেহেদির স্থান দখল করে নিয়েছে কোন মেহেদি। আবার শহুরে ব্যস্ত নারীদের অনেকে মেহেদি দেয়ার সময়ই পান না। কোন মেহেদিও নানা রকম পাওয়া যায় বাজারে। কিছু কোন মেহেদিতে থাকে শুধুই কেমিক্যাল আবার কিছু কোনে থাকে মেহেদি পাতার মিহি পেস্ট। কেমিক্যাল মেহেদি এড়ানোই ভালো। কারণ ক্ষতিকর এসিড যুক্ত এসব মেহেদি হাতের ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

মেহেদির নকশাতেও আছে বৈচিত্র্য। কখনো অ্যারাবিক ডিজাইন আবার কখনো ট্যাটুর ডিজাইন। তরুণীরা অনেকেই এখন হাতের পাশাপাশি বাহুতে এবং পিঠেও নকশা করেন মেহেদি দিয়ে। আর এই নকশা করিয়ে নেয়ার জন্য ঈদের আগে ভিড় লেগে থাকে নগরীর পার্লারগুলোতে। এসময়ে সিরিয়াল মেলাও কঠিন। তাই কেউ কেউ আবার ফেসবুকের মাধ্যমেই মেহেদি আর্টিস্টদেরকে বুকিং দিয়ে রেখেছেন। অনেকে আবার পরিচিত যারা ভালো নকশা করতে পারেন তাদের কাছে ভিড় জমাচ্ছেন। আবার নিজেই মেহেদির কোন নিয়ে হাতে নকশা করবেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।

মেহেদির নকশা যেমনই হোক রঙটা গাঢ় হওয়া চাই-ই চাই। কেমিক্যাল মেহেদির রঙ তো নিমিষেই গাঢ় হয়ে যায়। কিন্তু তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ন্যাচারাল মেহেদির রঙ গাঢ় করতে চাইলে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। জেনে নিন পদ্ধতিগুলো।

  • মেহেদি লাগানোর পর হাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সারা রাত রাখা যায়। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মেহেদি না ধুয়ে হাত দিয়ে ঘষে মেহেদি তুলে ফেলুন।
  • অল্প চিনির সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মেহেদি শুকালে গুলা কিংবা নরম ব্রাশের সাহায্যে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে মেহেদি উপর লাগান। চিনি ত্বকের সাথে মেহেদিকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখবে এবং লেবুর রস মেহেদির রঙ গাঢ় করবে।
  • মেহেদি তুলে ফেলার পর সরিষার তেল কিংবা নারিকেল তেল মাখিয়ে নিন। এতে রঙ বেশ গাঢ় হয়।
  • ঈদের দিন রান্নাঘরের কাজ করার সময় গ্লাভস ব্যবহার করুন। এতে আপনার মেহেদির রঙ অটুট থাকবে।