নিরাপত্তা-সংক্রান্ত জটিলতায় গেল বছর বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এ বছরের শুরুতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি তারা। কারণ ছিল সেই একই। নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ঝুঁকি!
তবে এখন সেই অস্ট্রেলিয়াতেই অস্ট্রেলিয়া পড়েছে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে। আগামী সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হতে যাওয়া মেলবোর্ন টেস্ট দেখতে স্টেডিয়ামে যাবেন কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন অস্ট্রেলিয়ার দর্শকরা। আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টে যেন দর্শককে স্টেডিয়ামমুখো করা যায়।
আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) মেলবোর্নে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার কথা জানা যায়। এর মধ্যে পরিকল্পনাকারী হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে। যদিও পরে দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। তার পরপরই কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে এমসিজি সহ পুরো মেলবোর্ন।
আসলে এমসিজি মূল টার্গেটে, এমন খবর নেই। কিন্তু খবর পাওয়া গেছে শহরটির ট্রেন স্টেশনে প্রাণঘাতী হামলা হবে। বড় দিনকে সামনে রেখে অনেক লোক জমায়েত হবে। ওটাকেই টার্গেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। মেলবোর্নের প্রধান পুলিশ কমিশনার গ্রাহাম অ্যাস্টন জানিয়েছেন, তারা এই পরিকল্পনা বানচাল করতে পেরেছেন। তারপরও যেসব জায়গায় বড় বড় ইভেন্ট হবে বড় দিনকে নিয়ে সেসব জায়গায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছুদিন আগেও সন্ত্রাসীরা অস্ট্রেলিয়ায় হামলা করে খবরে এসেছিল।
এমসিজি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। লাখো মানুষ এক সাথে খেলা দেখতে পারেন ওখানে। বড় দিনের ছুটি বলে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচেও সমর্থক হবে খুব। প্রথম দিনে ৬০০০০ দর্শক আসার কথা। স্টেডিয়ামটি তাই ঝুঁকিপূর্ণ বলেই বিবেচনায়। পুলিশ প্রধান বলেছেন, ‘বক্সিং ডে টেস্টও অনেক বড় ইভেন্ট। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে এসব নিয়ে কোনো ঝামেলা না হয়। সতর্কতা হিসেবে সব ব্যবস্থাই নিচ্ছি।’
মেলবোর্ন পুলিশ কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কথা বলেছেন। তারা এটা নিশ্চিত করেছে যে, বক্সিং ডে টেস্টকে সামনে রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে আছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।