টেবিলের ওপরে সারি সারি সাজানো। দক্ষ হাতে যত্ন করে সেই সাজিয়ে রাখা বস্তুটিকে আকার দেয়ার চেষ্টা চলছে। কীসের আকার? ‘মুখ’? একে ‘মুখ’ না বলে মুখোশ বলাই ভালো। কাদের মুখোশ? মেসি-রোনালদো-নেইমারদের! এভাবেই চলছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি।
বিশ্বকাপের দিন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে চাহিদা বাড়ছে প্রিয় ফুটবলারের মুখোশ সংগ্রহে রাখার। দর্শকদের সেই চাহিদা মেটানোর দায়িত্বটা নিয়েছে মেক্সিকোর জিউটিপেক শহরের ‘গ্রুপো রেভ ফ্যাক্টরি’।
শুধু মেসি, রোনালদোরা নন, নতুন এবং পুরনো মিলিয়ে মোট ১২ জন জনপ্রিয় ফুটবলারের মুখোশ তৈরি হচ্ছে এই কারখানায়। যাদের মধ্যে যেমন আছেন পেলে, ম্যারাডোনা, জিদান; তেমনি ইব্রাহিমোভিচ, লুইস সুয়ারেজ এবং ফ্র্যাঙ্ক রিবেরিরা।
কোম্পানির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ দেখতে রাশিয়া যাবেন, তাই আগে থেকে প্রিয় তারকার মুখোশ সংগ্রহ করতে চাইছেন অনেক অনুরাগী।’
‘অর্ডার আসছে প্রায় প্রতিদিনই। মেক্সিকোর সমর্থকরা বরাবরই গ্যালারিতে রঙ ছড়াতে ভালোবাসেন। সবার কথা ভেবেই আমরা এই মুখোশ তৈরি করছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি, মেসি আর রোনালদোর মুখোশের চাহিদা বেশি।’
প্রিয় ফুটবলারের মুখোশ হাতে পেতে হলে কত খরচ করতে হবে সমর্থকদের? মেক্সিকান কোম্পানিটি জানাচ্ছে, এক একটি মুখোশের দাম পড়বে ১৩ ডলার।
প্রাথমিকভাবে মেসি ও রোনারদোর ১ হাজারটা করে মুখোশ তৈরি করা হয়েছিল। যা ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। অন্য ফুটবলারদের ২০০ থেকে ২৫০টি করে মুখোশ তৈরি হচ্ছে।
এই মুখোশগুলো তৈরির সময় প্রথমে মাটির একটা ছাঁচ তৈরি করা হচ্ছে। তারপর প্লাস্টার অফ প্যারিসের ছোঁয়া। শেষে রাবারের মুখোশ তৈরি হচ্ছে মেশিনে।
মেক্সিকোর বাজারের কথা ভেবেই তৈরি করা হচ্ছে এই মুখোশ। তবে স্পেন, ফ্রান্স, সুইডেন, আমেরিকা থেকেও মুখোশের অর্ডার পেয়েছে ‘গ্রুপো রেভ ফ্যাক্টরি’।