নানা কাঠখড় পুড়িয়ে এবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল কবি নির্মলেন্দু গুণের মেয়ে মৃত্তিকা গুণের প্রথম ছবি ‘কালো মেঘের ভেলা’। শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ব্লকবাস্টারে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে।
সরকারি অনুদানে নির্মিত ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘কালো মেঘের ভেলা’। সম্প্রতি অন্তর্জালে ছবির ট্রেলার মুক্তির পর বেশ সাড়া পড়ে। দুখু নামের এক বালকের গল্প, ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র দুখুর সংলাপ ও অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক।
ছবিটির শো টাইম জানিয়ে নির্মাতা বলেন, শুক্রবার ও শনিবার বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে ‘কালো মেঘের ভেলা’ দুপুর ১টা ৫০ মিনিটি ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দুটি শো হবে। এছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে সিনেপ্লেক্সে ছবিটি চলবে প্রতিদিন সকাল ১১টায়, দুপুর ১টায় এবং বিকাল সাড়ে ৫টায়।
সিনেপ্লেক্স ছাড়াও যমুনা ব্লকবাস্টারে ছবিটি প্রতিদিন দুটি করে প্রদর্শনী চালাবে। একটি সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে এবং অন্যটি দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে।
‘কালো মেঘের ভেলা’ স্বল্পদৈর্ঘ্যের জন্য সরকারি অনুদান পেলেও বহু খাটাখাটনি করে গল্পটিকে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে রূপ দিয়েছেন মৃত্তিকা গুণ।
ছবিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাবার লেখা প্রিয় উপন্যাসের একটি ‘কালো মেঘের ভেলা’। ক্লাস সিক্সে প্রথমবার বইটার সঙ্গে পরিচয়। পড়তে পড়তে নিজেও হারিয়ে যান কল্পনার রাজ্যে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র দুখু মিয়া দাগ কাটে তার মনে। সেই থেকেই মাথায় গেঁথে যায় গল্পটি। তখনই ভেবেছিলেন, এটি নিয়ে কাজ করার। সেই সুযোগ এলো ২০১৫ সালে। সরকারি অনুদান পাওয়ার পর সময় নিয়ে শিল্পী নির্বাচন ও শুটিংয়ের কাজ করলেন মৃত্তিকা। স্বল্পদৈর্ঘ্য হিসেবে অনুদান পাওয়া এই ছবিটি এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে।
ছোটদের মনস্তাত্বিক বিষয় নিয়ে ছবি করলেও নির্মাতা মনে করছেন, ‘কালো মেঘের ভেলা’ ছবিটি শুধু ছোটদের নয়, এটি প্রাপ্ত বয়স্ক ও মনস্কদের ছবি। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা টার্গেট দর্শক থাকলেও ছবিটির দর্শক হিসেবে সব বয়সী মানুষদেরকেই চান মৃত্তিকা।
ছবির চিত্রনাট্য করেছেন প্রয়াত ফারুক হোসেন। ছবির বেশিরভাগ অংশের শুটিং হয়েছে কবি নির্মলেন্দু গুণের গ্রাম বারহাট্টায়। এছাড়া কমলাপুর, পুবাইল, তেজগাঁও বস্তিতেও শুটিং সম্পন্ন করেছেন মৃত্তিকা গুণ।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মা ও ছেলে। যেখানে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান ও ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পিদিম থিয়েটারের আপন।