শাহবাগ গণজাগরণ থেকে একটা প্রচলন চলে আসছে যে, বড় কোনো রায়ের দিন এবং রায় কার্যকর হবার দিন প্রজন্ম চত্বরের লোকেরা যার যার সুবিধা মতো শাহবাগে চলে আসে। কেউ সকালে, দুপুরে, বিকেলে, সন্ধ্যায়, কেউ এমন কি রাত বারটায় সুযোগ পেলে তখনই চলে আসে। এখানে সমবেত হয়ে যখন যা কর্মসূচী থাকে তাতে অংশ নেয়া আর অফুরন্ত দীর্ঘ আড্ডা। শাহবাগের আড্ডা মানেই তর্ক। তর্কই হচ্ছে শাহবাগ আড্ডার প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ বৈশিষ্ট্য শুধু ১৩ সালের গণজাগরণ থেকেই নয়, শাহবাগ আড্ডাবাজদের এ বৈশিষ্ট্য দেখছি ২০-২৫ বছর ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আড্ডাবাজদের অনেকেই ছাত্র জীবন শেষ হওয়ার পর আড্ডার স্থান পরিবর্তন করে আজিজ মার্কেট, পিজি হাসপাতালের ঔষধের দোকান এবং শাহবাগ মোড়ে নিয়ে আসে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাসহ সারা দেশ থেকে ঢাকায় আসা চিন্তাশীল এবং প্রগতিশীল মানুষেরা। শাহবাগ আড্ডায় অংশ নেয় কবি-সাহিত্যিক থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, সাংবাদিক, রাজনীতিকসহ সকল পেশার মানুষেরা। এদের সকলের মধ্যে একটা কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – এরা তর্ক প্রিয়।
১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী ট্রাইবুন্যালের রায়ে মিরপুরের কসাইটার সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় এই ছাপোষা মানুষগুলো ক্ষেপে যায়। যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত সেদিন হরতাল ডেকে রেখেছিল আগে থেকেই। সে কারণে অনেক আড্ডাবাজ সেদিন ঘরে ছিলেন। শাহবাগের স্বাধীনতাকামী মানুষেরা একে অন্যকে ফোন করে আলোচনা করতে থাকে- এ কি হলো, এবার কি হবে? সবার মধ্যেই একটা কমন ক্ষোভ। কেউই এই রায় মেনে নিতে পারছে না। কি করা যায় কি করা যায় ভাবতে ভাবতেই কর্মসূচী দিয়ে বসল বেশ কয়েকটি সংগঠন। ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী এবং বোয়ানের কর্মসূচী সেদিন সবচেয়ে বেশি প্রচারিত হয়েছে। শেষ বেলায় সংগঠন দুটি ছোট ছোট মিছিল শুরু করলে ঘর থেকে বের হয়ে শাহবাগের ক্ষুব্ধ আড্ডাবাজেরা একে একে তাতে যোগ দিতে থাকে। প্রতিবাদ কর্মসূচী কে দিয়েছে তা সেদিন কোনো বিবেচনার বিষয় ছিল না। নিজের ভেতরের সঞ্চিত ক্ষোভ প্রতিবাদের ভাষায় রূপান্তর করে তা প্রকাশ করতে পারায় সকলেই স্বস্তি অনুভব করে। যারা প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে তারা ফোনে ডাকতে থাকে বন্ধুদের। শাহবাগ থেকে বন্ধুর ফোন পেয়ে অন্য বন্ধুকে ফোন করে বলে- শাহবাগে দেখা হবে। এভাবে যোগ দিতে দিতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেতে না যেতেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে শাহবাগ। নজরে পরে গণমাধ্যমের। শুরু হয় ফেসবুক স্ট্যাটাস, সংবাদপত্রে অনলাইন আপডেট, টেলিভিশনে লাইভ টেলিকাষ্ট। শাহবাগে নামে লাখো মানুষের ঢল। চলতে থাকে একাত্তরের ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে টানা প্রতিবাদ; মানব ইতিহাসের অন্যতম ব্যাপক নান্দনিক প্রতিবাদ। শাহবাগ প্রতিবাদের গভীরতা অনুধাবন করলে বোঝা যায় যে এই প্রতিবাদ অনেক কালধরে সংস্কৃতিতে, রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে চলবে।
শাহবাগ প্রতিবাদ করেছে কাদের মোল্লার লঘু শাস্তির; নিশ্চিত করতে চেয়েছে সব কয়টি ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি। একই সঙ্গে শাহবাগ প্রতিরোধ করতে চেয়েছে সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী রাজনীতি। শাহবাগ উর্দ্ধে তুলে ধরেছে নর-নারীর সাম্য। একে একে বেশ কয়েকটি প্রধান ঘাতকের বিচার সম্পন্ন হয়েছে; আদালতের দেয়া শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর আমীর যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর শাস্তি কার্যকর হওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। প্রধান যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে শাস্তি ভোগের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা মীর কাসেম আলী। চলমান রয়েছে সকল ঘাতকের প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করার কাজ। যতদিন পর্যন্ত শেষ যুদ্ধাপরাধীটা শাস্তি না পাবে ততদিন পর্যন্ত চলবে যুদ্ধাপরাধের বিচার। অসামাপ্ত রয়েছে মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জয় লাভ।
দেশ বিভাগের আগে থেকে এখানে ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতির বীজ বোনা হয়েছে সাধারণ বাঙালির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। সংখ্যাগুরু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে সংখ্যা লঘু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে। উদ্দেশ্য একটাই- ধর্মের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করা। সহস্রাধিক কালের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঋদ্ধ বাঙালি মানস ধর্ম ব্যবসায়ীদের শত চেষ্টায় সারা দেয়নি কখনোই। ধর্ম ব্যবসায়ীরা বাঙালির রাজনৈতিক দর্শনে পরিবর্তন আনতে না পেরে ধরেছে জঙ্গিবাদের পথ। অধ্যাপক আবুল বারকাতের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে এই ধর্ম ব্যাবসায়ী চক্র গত ৪০ বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে এখানে জঙ্গিবাদের চাষাবাদে। সরকার যেভাবে জঙ্গিদের দমনে সচেষ্ট রয়েছে তা দেখে নিশ্চিত মনে বলা যায়- ধর্ম ব্যাবসায়ীদের জঙ্গি প্রচেষ্টাও দমন হবে শীঘ্রই। শাহবাগ প্রতিবাদ সার্থক হয়ে উঠবে। যুগ যুগ ধরে আগামীর গবেষকেরা উদ্ঘাটন করবে একাত্তরের ঘাতক-দালালদের জন্য একালের প্রতিবাদীদের ভেতর লুকিয়ে থাকা ঘৃণা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতি সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, আবহমানকাল ধরে বাঙালি হৃদয়ে লালন করা অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
শাহবাগ প্রতিবাদ যে সাম্রাজ্যবাদী এবং কায়েমী স্বার্থবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙ্গে দিতে এসেছে তা তারা গোঁড়াতেই বুঝে নিয়েছিল। এই প্রতিবাদকে আক্রমণ করতে তারা দেরী করেনি এক মুহূর্ত। সর্বশক্তি দিয়ে একের পর এক আক্রমণ তারা চালিয়েছে শাহবাগের গণজাগরণের প্রতি। একদলকে তারা বুঝিয়েছে এই প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। অতএব আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যদের এখানে যোগ দেয়া উচিৎ নয়। অন্যদের জন্য দেয়া হয়েছে দুর্নীতি আর সামাজিক সমস্যার দাওয়া। এই দুই তত্ত্ব তেমন কাজে আসেনি। প্রতিবাদীরা বলেছে আমার প্রতিবাদ আমি করছি তাতে যদি আওয়ামী লীগের শক্তি বাড়ে আর তা দিয়ে যদি যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া যায় তাতে ক্ষতি কি? প্রতিবাদীরা আরও বলেছে, আমরা বাংলা পরীক্ষার সময় অংকের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাই না, বাংলা শেষ হলে অংকের সমস্যা নিয়ে ভাবতে বসব। এই দুই দাওয়া কাজ না করায় আঘাত করেছে সেই পুরোন অস্ত্র, ‘ধর্ম’ দিয়ে। প্রতিবাদের অন্যতম সংগঠক রাজীব হায়দারকে হত্যা করে, তাদের পত্রিকায় তাকে নাস্তিক হিসেবে উপস্থাপন করে, শাহবাগের সকল প্রতিবাদীদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তারা বিভক্ত করতে চেয়েছে শাহবাগের প্রতিবাদীদের। প্রতিবাদীরা ইসলাম ধর্ম ধ্বংস করে দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ নাস্তিকদের কথায় আলেমদের শাস্তি দিচ্ছে, ইত্যাদি বলে তারা গ্রামে, গঞ্জে, মহল্লায়, পাড়ায় পাড়ায় প্রচারণা চালিয়েছে। এই প্রচারণা কাজ দিয়েছে। প্রতিবাদ দ্বিধা বিভক্ত হয়েছে। নিজেদের গায়ে নাস্তিক ট্যাগ লাগায় আওয়ামী লীগকে বিরাট রাজনৈতিক মাশুল দিতে হয়েছে ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে; পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চে সমর্থন যোগানো থেকে। লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, ভিন্ন মতের ধর্মীয় নেতা, পুরোহিতদের টার্গেট করে হত্যা করে দুর্বল করা হয়েছে শাহবাগ প্রতিবাদকে। শাহবাগের প্রতিবাদীদের অনেকে হত্যা করেছে ঘাতকদের খুনি বাহিনী; অনেকে আজ দেশ ছাড়া।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের বিভিন্ন বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে তার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ। এক্ষেত্রে বামপন্থীরা, বিশেষ করে চৈনিক বামেরা জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। নামে সমাজতন্ত্রী হলেও এরা মূলত মুসলিম লীগারদের পরবর্তী প্রজন্ম যারা কখনোই মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে মেনে নেয়নি বরং স্বাধীনতার পর থেকে ছলে বলে কৌশলে পাকিস্তানপন্থীদের রাজনৈতিক থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করে এসেছে। মস্কোপন্থীরাও দেশের চরম রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতে পাকিস্তানপন্থীদের গডফাদার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নির্দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ৫ জানুয়ারী নির্বাচন বয়কট করেছে। এই বামপন্থীরা শাহবাগে এমন সব প্রচারণা চালিয়েছে যাতে ধারণা হয় যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্দেশে, আদালতের বিচার-বুদ্ধি-প্রজ্ঞায় নয়। এরা বিভিন্ন ধুঁয়ো তুলে শাহবাগ আড্ডাবাজদের বিভ্রান্ত করেছে।
নতুন দল করার অভিপ্রায় ইমরান প্রকাশ্যে ব্যক্ত করেছেন বেশ কয়েক বার। এতে শঙ্কিত হয়েছে ক্ষমতাসীন দল। শাহবাগ আড্ডাবাজদের মধ্যে ইমরানের নেতৃত্ব দুর্বল করার জন্য, ইমরানকে বিতর্কিত করার জন্য আওয়ামী সমর্থকেরা গণজাগরণ মঞ্চ নামে আলাদা মঞ্চ তৈরি করেছে; বিভক্ত হয়েছে শাহবাগ প্রতিবাদ। রাজনৈতিক চেতনায় চৈনিক বাম, রাশান বাম কিংবা আওয়ামী লীগ যাই হোক না কেন এদের মধ্যকার কমন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা প্রগতিশীল। প্রগতিশীলদের বিভাজনে একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিচারের প্রক্রিয়া স্বত্বস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস হারিয়েছে; মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি বিভিন্ন অপপ্রচার করার সুযোগ পেয়েছে। এই বিভক্তি না হলে, শাহবাগের আড্ডাবাজেরা একত্রিত থাকলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আরও গতিশীল থাকত; বাঙালির ইতিহাসের দায় মোচন পর্ব দেশে বিদেশে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠত।
মার্ক্স বলেছিলেন, “দ্বন্দ্বেই বিকাশ”। বিবেকানন্দ বলেছেন, “যত মত, তত পথ”। শাহবাগ আড্ডাবাজদের মধ্যে যে দ্বন্দ্বের চর্চা দেখে আসছি তা এই প্রগতিশীল মানুষগুলোর প্রধান শক্তি। বিভিন্ন মতই তাদের সামনে খুলে দিয়েছে বিভিন্ন পথ। এই শক্তির জোরেই শাহবাগের আড্ডাবাজেরা সৃষ্টি করে বড় বড় শিল্পকর্ম, কবিতা, গান, ছড়া, কার্টুন; সৃষ্টি করে নান্দনিক গণজাগরণ। পৃথিবীর ইতিহাসে শাহবাগ প্রতিবাদের মত বিশাল এবং ব্যাপক নান্দনিক প্রতিবাদ বিরল। এখানকার পেশাজীবীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে, স্বদেশের প্রয়োজনে এরাই এগিয়ে আসেন সর্বাগ্রে। এখানকার তর্কে তর্কে অতীতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলন। শাহবাগ প্রতিবাদও সে রকমের আরেকটি প্রয়াস যা যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে সৃষ্টি করেছে গণজাগরণ। শাহবাগের মানুষদের বিভ্রান্ত করতে, বিভক্ত করতে সক্ষম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। আলবদর প্রধানের রিভিউ আবেদন বাতিল হওয়ার দিনে সেখানে গিয়ে পাই নি আগের মতো প্রাণচাঞ্চল্য। শাহবাগ উজ্জীবিত থাকলে উৎসাহিত হয় সারা দেশের মানুষ; প্রবাসীরাও পায় প্রাণ। শাহবাগকে উজ্জীবিত করতে চাই প্রগতিশীলদের ঐক্য। প্রগতিশীলদেড় ঐক্য হয় সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ইস্যুর ভিত্তিতে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি দ্বিতীয় পর্বের মুক্তিযুদ্ধেও পরাজিত প্রায়। তাদের এই পরাজয় ত্বরান্বিত করে অংক পরীক্ষার জন্য বসতে হবে। ঘাতক-দালাল-জঙ্গিবাদ নির্মূল শেষে দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। এর বিরুদ্ধে চাই আরেকটা প্রচণ্ড লড়াই। শাহবাগই পারবে সে লড়াইটা শুরু করতে। তর্ক প্রিয় প্রগতিশীলেরা ঐক্যবদ্ধ হলে দ্বন্দ্ব হবে, দ্বন্দ্ব হলে বিকাশ হবেই; খুলে যাবে মুক্তির শত পথ।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)