প্রস্তাবিত বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও বিজয় দিবস ভাতা চালু করছে সরকার। আগামী অর্থবছর থেকে এ ভাতা কার্যকর হবে।
এছাড়া বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণসহ বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৮ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটি জাতীয় সংসদের উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী অর্থ বছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও বিজয় দিবস ভাতা চালু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য দেশের সকল জলো/উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৫৭টি জেলায় ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে ও ১৬টি বিশেষায়িত হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৮৫২টি ইউনিট নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে; আরও ১১৯টি ইউনিট নির্মাণাধীন আছে। এছাড়াও ৮ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে আবাসন সুবিধা প্রদানের জন্য জেলা/উপজেলা পর্যায়ে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সকল বে-সামরিক, সামরিক, শহীদ, খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার কল্যাণ সাধনের লক্ষে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের ই-ঐতিহ্য এবং স্মৃতি সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধকালে মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাসমূহ মেরামত ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরা ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৃষ্টির লক্ষে সকল জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কাম লাইব্রেরি নির্মাণ করা হচ্ছে।