চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মিয়ানমার ফেরত ১৫৫ জনের মধ্যে ৯ শিশুকে বাড়ি পাঠাতে আদালতের নির্দেশ

মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা ১৫৫ জন বাংলাদেশীর মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৯ জনকে নিরাপদে বাড়িতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ওই ৯ জন শিশু-কিশোরকে কক্সবাজার আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুশান্ত প্রসাদ চাকমা এ নির্দেশ প্রদান করেন।

আদেশে বলা হয়, তাদেরকে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার জেলা শাখার মাধ্যমে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে। এ ৯ জনের মধ্যে ছয়জন নারায়নগঞ্জ, দুইজন ঝিনাইদহ ও একজন মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা।

বুধবার মিয়ানমার থেকে ফেরত আনা ১৫৫ জনের মধ্যে অপর ১৪৬ জনের ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কাজ শেষ হয়েছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন।

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কক্সবাজারের সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, ইতিমধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে চিহ্নিত নয়জনের ইমিগ্রেশন ও তথ্য সংগ্রহ করে জিজ্ঞাসার কাজ শেষ করেছে প্রশাসন। রেডক্রিসেন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানেই এদের বাড়ি পৌঁছানো হবে।

পুলিশ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এসব প্রক্রিয়া শেষ হলেই তাদেরকে শুক্রবার বাড়ি পাঠানো হবে। এদের মানবিক সাহায্য দিচ্ছে আইওএম।

কক্সবাজার পুলিশ লাইনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মেজবাহ ইদ্দিন জানান, বুধবার রাতে ফেরত আনাদের ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এদের নয়জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় নির্দেশনা জানতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

আইওএম’র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর বলেন, ফেরত আনা লোকজনকে বাড়ি পৌঁছানো পর্যন্ত আইওএম মানবিক সাহায্য প্রদান করবে। এদের মধ্যে যে সব জেলার লোকজনের সংখ্যা বেশি তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করে এবং অন্যদের নিজ জিন্মায় বাড়ি পৌঁছানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আসিফ মুনীর আরও জানান, ২৯ মে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর হাতে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে আরো ৪ শতাধিক বাংলাদেশী রয়েছে। এদের আগামী সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা শুরু হবে।

২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমার। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম দফায় বাংলাদেশী হিসেবে শনাক্ত ১৫০ জনকে ৮ জুন এবং দ্বিতীয় দফায় ৩৭ জনকে ১৯ জুন ফেরত আনা হয়।

এরমধ্যে ২৯ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে দেশটির নৌ-বাহিনী আরো ৭২৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীদের উদ্ধার করে। এদের মধ্যে বুধবার বাংলাদেশী হিসেবে শনাক্ত ১৫৫ জনকে ফেরত আনা হয়েছে।