মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনী ২৩ হাজার কারাবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। দেশব্যাপি সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই কারাবন্দীদের মুক্তি দেন তারা।
ইউনিয়ন ডে উপলক্ষে শুক্রবার এসব কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। ৫৫ জন বিদেশি নাগরিককেও মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সব কারাবন্দী কোন অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন তা জানা যায়নি।
সেনা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং জানিয়েছেন, একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এবং বন্দিদের সভ্য নাগরিক হিসেবে গড়তে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফল পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, এটা হয়তো রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য জায়গা খালি করারই একটি ধাপ।
সেনা অভ্যুত্থানের জেরে দেশটিতে আরও বড় অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
তবে সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রতিবাদ শুরু করেছে মিয়ানমারের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং নাগরিকদের বড় একটা অংশ।
অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চি কোথায় আছেন তা এখনও পরিস্কার করেনি দেশটির সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগ; আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গ এবং অবৈধভাবে যোগাযোগ ডিভাইস (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করা। এসব অভিযোগে ২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার।