মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর কাজে বাধা দিলে ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের হুমকি দিয়েছে জান্তা সরকার।
যারাই সেনাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াবে, তাদের দীর্ঘসময় কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের হুমকি দিয়েছে ক্ষমতাসীন জান্তারা। সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তা সেটা কথা বা লেখা দিয়েই হোক অথবা কোনো চিহ্ন বা দৃশ্যমান উপস্থাপনা দিয়েই হোক।
বিবৃতি আরো বলা হয়, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর কাজে বাধা দিলে ২০ বছরের কারাদণ্ড আর ভয় ও বিশৃঙ্খলায় মদদ দিলে তিন থেকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা মিলবে।
শনিবার সেনা সরকার নিজেদের কাউকে গ্রেপ্তার করার, সার্চ করার এবং আদালতের আদেশ ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখার ক্ষমতা দেয়।
এরই মধ্যে দেশটিতে সেনাবাহিনীর বন্ধ করে দেওয়া ইন্টারনেট সেবা আবার চালু করা হয়েছে। কিন্তু এসবের মধ্যেই মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ও অন্যান্য বন্দী নেতাদের মুক্তির দাবি করে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে সেখানে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠান চান তারা।
রয়টার্স সেখানে অল্প কিছু মানুষের জটলার কথা জানিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে তারা।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
তবে সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রতিবাদ শুরু করেছে মিয়ানমারের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং নাগরিকদের বড় একটা অংশ।
অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চি কোথায় আছেন তা এখনও পরিস্কার করেনি দেশটির সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগ; আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গ এবং অবৈধভাবে যোগাযোগ ডিভাইস (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করা। এসব অভিযোগে ২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার।