মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা সমুন্নত থাকবে বলেই আশা করছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারে সামরিক অভুত্থানের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিকটতম ও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী হিসেবে, আমরা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুসারী ও জোরদার করার সমর্থক।
সোমবার মিয়ানামরের নেত্রী অং সান সু চি ও অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের আটক করার পর দেশটির সেনাবাহিনী সেখানে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ঢাকা নেপিডোর সাথে পারস্পরিক কল্যাণমূলক সম্পর্ক উন্নয়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আশা করছি এসব প্রক্রিয়া সঠিক পথেই এগুবে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারে সেনাবাহিনী দমন অভিযান শুরু করার পর ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এদের অধিকাংশই এখানে এসেছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের নিকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। বিগত তিন বছরে মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারের বিরুদ্ধে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে সকালে। প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ট ও সুচি’র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে সুচিকে আটক করা হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ও টানা-পোড়েনের পর নেতাদের আটক করা হলো। গত নভেম্বর মাসের নির্বাচনের পর থেকেই সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিলো দেশটিতে।