চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গ্লাভসে ‘মিলিটারি ব্যাজ’ ইস্যুতে ধোনির পাশে বিসিসিআই

খেলার মাঠে সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তার উইকেটকিপিং গ্লাভসে সেনাবাহিনীর রেজিমেন্টের প্রতীক দেখে খুলে ফেলতে অনুরোধ জানিয়েছে আইসিসি। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বলছে, ধোনি কোনো দোষ করেননি গ্লাভসে সেই প্রতীক রেখে। একই গ্লাভস পরে আসছে ম্যাচেও যেন খেলতে পারেন সেই অনুরোধ করে উল্টো আইসিসিকে চিঠিও পাঠিয়েছে বোর্ডটি!

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ধোনির ব্যবহৃত প্রতীকটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারা স্পেশাল ফোর্সের প্যারাসুট রেজিমেন্টের। এটির নাম ‘বলিদান ব্যাজ’। প্যারা মিলিটারি কমান্ডোরা এই ব্যাজ ব্যবহার করতে পারেন।

গত বুধবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। যুজবেন্দ্র চাহালের করা ইনিংসের ৪০তম ওভারে আন্দিলে ফেলুকোয়ওকে রানআউট করেন ধোনি। তখনই গ্লাভসে সংযুক্ত প্রতীকটি নজরে আসে।

গ্লাভসে এই ধরনের প্রতীক রাখা আইসিসির পোশাক ও ক্রীড়া অনুষঙ্গ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন বলে জানায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। যে কারণে এটি খুলে ফেলার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে নির্দেশনা দেয় আইসিসি।

এরপরই নড়েচড়ে বসে বিসিসিআই। ধোনির পাশে দাঁড়িয়ে শুক্রবার বোর্ডের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই পিটিআইকে জানান, ধোনি যাতে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ওই গ্লাভস পরেই খেলতে পারেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে আইসিসিকে চিঠি দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সিওএ-র বৈঠকের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

ধোনির গ্লাভস জোড়ার থাকা সেই প্রতীক কোনো মিলিটারি প্রতীক নয় বলেও দাবি করেছেন বিনোদ রাই, ‘আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড়রা বাণিজ্যিক, ধর্মীয় কিংবা মিলিটারি প্রতীক ব্যবহার করতে পারেন না। ধোনির গ্লাভসে ড্যাগারযুক্ত যে প্রতীকটি ছিল, সেটি মিলিটারি প্রতীকও নয়। সুতরাং সে কোনো আইন ভাঙেনি।’

দুটি বিশ্বকাপ জেতানো ধোনির প্রতীকযুক্ত গ্লাভস দেখে অবশ্য তাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে চলেছে ভারতবাসী। টুইটারে একজন সেনা কর্মকর্তা লিখেছেন, ‘এই বলিদান ব্যাজ সবাই পরতে পারে না। অনেক আত্মত্যাগের পর যোগ্যরাই কেবল এই ব্যাজ ধারণ করতে পারে। দেশের জন্য আপনি অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। সুতরাং অবশ্যই আপনি এই ব্যাজের যোগ্য।’

উল্লেখ্য, ধোনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারাশুট রেজিমেন্টের সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল। ২০১৫ সালে প্যারা স্পেশাল ফোর্সের সঙ্গে দু’সপ্তাহ ট্রেনিংও করেছিলেন তিনি। গত বছর রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পদ্মভূষণ গ্রহণের সময় রীতিমত সেনা পোশাকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক!