বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন: মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব মিথ্যা বলায় নিজের রেকর্ড প্রতিনিয়ত ভঙ্গ করছেন। উনি এত বেশি মিথ্যা কথা বলেন এজন্য অনেক ব্যঙ্গ করে তাকে মির্জা ফখরুল না বলে মিথ্যা ফখরুল বলা শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজকে মহিলা দলের সমাবেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে সমালোচনা করেছে তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এভাবে ক্রমাগত মিথ্যা কথা বলেন।
সোমবার সেগুনবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী’ উদযাপন কমিটির প্রস্তুতি মিটিং শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়া টাকা ও বাড়ি নিয়ে ১৯৮২ সালে এরশাদের ক্ষমতা দখলে সমর্থন দিয়েছে দাবি করে এ সময় হাছান বলেন: ১৯৮২ সালে যখন এরশাদ সাহেব ক্ষমতা দখল করে। এর পর পর আমরা দেখেছি বেগম খালেদা জিয়া, এরশাদ সাহেব থেকে ২ টি বাড়ি নিয়েছেন, ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তার যদি এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা না থাকতো, আর যদি তিনি সেই সরকারকে মেনে না নিতেন, তাহলে সেই সরকারের কাছ থেকে ২ টি বাড়ি নিলেন কোনো, ১০ লাখ টাকা নিলেন কেনো। এগুলোই তো প্রমাণ করে যে বেগম খালেদা জিয়া এরশাদ সাহেবের ক্ষমতা দখলে সমর্থক ছিলেন। সেই কারণে তিনি তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, বাড়ি নিয়েছেন।
তিনি বলেন: এই কথাগুলোই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংসদে বলেছেন। এই অপ্রিয় সত্য কথাটি সংসদে বলার কারণে মির্জা ফখরুল সাহেবদের গা জ্বালা করছে।
‘খালেদা জিয়াকে সুস্থ দেখিয়ে ফের কারাগারে নেয়া চেষ্টা করছে সরকার’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বকে অনুরোধ জানাবো, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে তারা যেভাবে অপরাজনীতি করছে, এতে কিন্তু বেগম জিয়াকে খাটো করা হচ্ছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়ার যে শারিরীক সমস্যা এগুলো নতুন কোনো সমস্যা নয়। তার আর্থ্রাইটিসের সমস্যা, হাঁটু ও কোমড়ে ব্যথা এগুলো অনেক পুরানো সমস্যা। এই সমস্যা নিয়ে তিনি দুই বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছে, বিরোধী দলের নেতারা দায়িত্ব পালন করছে।
আওয়ামী লীগ মুখপাত্র বলেন: তিনি ( খালেদা জিয়া) বিএনপি মত একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কয়েক দিন পর পর এ কথাগুলো বলে তারা আসলে বেগম খালেদা জিয়াকে খাটো করছেন, তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিচ্ছে। আসলে রাজনীতির মাঠে কোনো ইস্যু না পেয়ে, এখন খালেদা জিয়ার হাঁটু ও কোমড়ের ব্যথাই হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক ইস্যু।
রংপুর উপনির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী পরিবারকে মনোনয়ন দেয়ায় সমালোচনা করে তিনি বলেন: বঙ্গবন্ধু খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় নয়, রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠার কাজ জিয়াউর রহমান করেছিলো, বেগম খালেদা জিয়াও করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশি দূতাবাসের চাকরি দিয়েছিলো। বিদেশে যাওয়ার সহায়তা করেছিলো। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার জন্য ইনডেমনিটি বিল সংসদে পাশ করিয়েছিলেন বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
হাছান মাহমুদ বলেন: খালেদা জিয়া একধাপ এগিয়ে বঙ্গবন্ধুর একজন খুনিকে ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের পর বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে তার গাড়ীতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলো। তাদের রাজনীতিটা হচ্ছে খুনের ওপরে প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর খুনি পরিবারকে মনোনয়ন দেয়ায় আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এটা তাদের রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এটা করেছেন, এটা দেশের রাজনীতির জন্য অশুভ।