বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা বাতিলের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান মামলার বিষয়ে বলেন, ‘আজকের এ আদেশের ফলে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই। মামলাটি বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।’
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘গত ২২ অক্টোবর শুনানির সময় আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে কেউ না থাকায় আদালত সেইদিন তার আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেয়। তবে পরে তার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশটি রিকল করা হয়। এবং গত বৃহস্পতিবার মির্জা আব্বাসের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আবেদনটির উপর শুনানি করেন। এরপর আদালত আজ তা আদেশের জন্য রেখেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মোট ৫ কোটি ৯৭ লক্ষ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফিউল আলম ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রমনা থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বিচারাধীন।