চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মিরাজের ৫ উইকেট, সাকিবের ৪, বাংলাদেশের ১৯২ লিড

যে জিম্বাবুয়ে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছিল ২২৯ রানে, সেই জিম্বাবুয়ে অলআউট ২৭৬ রানে। যাতে ঘূর্ণিজাদু দেখিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের দুই স্পিনার ভাগ করে নিয়েছেন স্বাগতিকদের ৯ উইকেট, বাকি উইকেটটি তাসকিনের।

ক্যারিয়ারে অষ্টমবার ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন মিরাজ, সেজন্য অফস্পিনারকে ৩১ ওভার পরিশ্রম করে ৮২ রান খরচ করতে হয়েছে। সাকিব ৪ উইকেটের জন্য ৩৪.৫ ওভারে খরচ করেছেন মিরাজের সমান রানই।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে ১ উইকেটে ১১৪ রানে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। ২ উইকেটে ২০৯ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায়। স্বাগতিকরা চা পানের বিরতিতে যায় ৫ উইকেটে ২৪৪ রানে। ফিরে ১৫ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে গেছে ২৭৬ রানে।

তাতে প্রথম ইনিংস থেকে বিশাল লিড আদায় করে নিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের থেকে ১৯২ রানে পিছিয়ে থেমেছে জিম্বাবুইয়ানরা।

সকালে বাংলাদেশের বোলারদের বেশ ভুগিয়েছে জিম্বাবুয়ে টপঅর্ডার। হারারে টেস্টে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে কেবল ব্রেন্ডন টেলরের উইকেট তোলা সম্ভব হয়েছে। পরের সেশনে অবশ্য উল্টো চিত্র। সাকিব-তাসকিনে টাইগাররা স্বস্তি ফেরায়, তিন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠায়। চা বিরতির পর ফিরে মিডল ও লেজ মুড়িয়ে দেন মিরাজ।

লাঞ্চ বিরতির পর ফিরে ডিয়ন মেয়ার্সকে (২৭) মিরাজের ক্যাচ বানান সাকিব। খানিক পর এলবিডব্লিউ করে রানের খাতাই খুলতে দেননি টিমিক্যান মারুমাকে। সেটি টাইগার অলরাউন্ডারের ইনিংসে তৃতীয় শিকার। জিম্বাবুয়ের শেষ ব্যাটসম্যান রিচার্ড নাগারাভাবে শূন্য রানে আউট করে বাঁহাতি স্পিনার ধরেছেন চতুর্থ শিকার।

ইনিংসের মাঝামাঝিতে উল্লাসে যোগ দেন তাসকিন, শূন্য রানে সাজঘরে পাঠান রয় কাইয়াকে, উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসবন্দি করে।

তার আগে দীর্ঘ সময় হতাশার গল্প। বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই চওড়া করে তোলা ব্যাটে আরেকবার ঝলকানি দেখান টেলর। সঙ্গী পান উইকেট আঁকড়ে রাখা টাকুদজয়নাশে কাইটানোকে।

দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পেরেছিল বাংলাদেশ। মিল্টন সুম্বাকে (৪১) এলবিডব্লিউ করে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। ৬১ রানের মাথায় স্বাগতিকরা হারায় প্রথম উইকেট।

অভিষিক্ত আরেক ওপেনার টাকুদজয়নাশে কাইটানো ও অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরকে পরে বিচ্ছিন্নই করা যাচ্ছিল না। দুজনে ১১৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। কাইটানো ৩৩ রানে দিন শুরু করে ৮৭ রানে থামেন। তাকে অভিষেক সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন মিরাজ। লিটনের গ্লাভসে জমা করিয়ে। তার আগে ওপেনিংয়ে জিম্বাবুয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের অভিষেক ইনিংসটি খেলে গেছেন কাইটানো।

ব্রেন্ডন টেলর সকালে ৩৭ রানে ক্রিজে এসে ৮১ করে ফিরে যান। অনেকটা ওয়ানডে ঢংয়ে পুরো ইনিংসটা খেলেছেন স্বাগতিক দলপতি। আউটও হয়েছেন শট খেলতে যেয়েই। মিরাজের বলে বদলি ফিল্ডার ইয়াসিরকে ক্যাচ দিয়েছেন। ১২ চার ও এক ছয়ে ৯২ বলে ৮১ রান করে গেছেন ফেরার আগে।

মিরাজ পরে এলবিডব্লিউ করেছেন ডোনাল্ড ত্রিপানোকে। আর রানের খাতা খুলতে না দিয়ে স্টাম্প এলোমেলো করেছেন ভিক্টর নাউচির। খানিক পর ব্লেসিং মুজারাবানিকে বোল্ড করে নিজের পঞ্চম শিকার ধরেন টাইগার অফস্পিনার।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ৪৬৮ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ১৫০, তাসকিন আহমেদ ৭৫, লিটন দাস ৯৫ ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৭০ রানে সাড়ে চারশো পেরিয়ে যায় টাইগাররা।