চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘মিনি পাকিস্তান’ আগরদারী জঙ্গিমুক্ত

এক যুগেরও বেশি সময় পর জঙ্গিবাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়েছে ‘মিনি পাকিস্তান’ নামে পরিচিত সাতক্ষীরার আগরদারী ইউনিয়ন। প্রশাসনের দাবি, মুক্তিযুদ্ধ ও সাংস্কৃতিক চেতনায় জনসচেতনতার কারণে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রন করা গেছে।

২০১৩ সালের ২৮ ফেরুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর অশান্ত হয়ে উঠে সাতক্ষীরা। অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হারায় প্রশাসন। জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি গড়ে ওঠে মিনি পাকিস্তান নামে পরিচিত আগরদারী ইউনিয়নে। কাদের মোল্লার ফাঁসী কার্যকর হওয়ার পর ঘটে সংঘর্ষ-সহিংতার ঘটনা। এরপর থেকে প্রশাসন ছিলো অনেকটাই অসহায়।

আগরদারী ইউনিয়ন মিনি পাকিস্তান নামে খ্যাত উল্লেখ করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হোসাইন সুজন বলেন, এ পর্যন্ত আঠারো উনিশজন আওয়ামী লীগ নেতাকে তারা খুন করেছে। এখানে যে মাদ্রাসা আছে সেখানে জামাত শিবিরদের আবাসস্থল ছিলো। দিনেও সেখানে প্রশাসনের কেউ যেতে সাহস করেনি।

সেসময় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর পুরো নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে আগরদারী ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকা।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু বলেন, বাড়ি থেকে মানুষ বের হতে পারতো না। বাইরে গেলেই আতঙ্ক বিরাজ করতো, যেকোন সময় মানুষ মারা যেতে পারে।

তবে আগরদারীতে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয় বন্দুকযুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের কয়েক নেতা-কর্মীর মৃত্যু এবং জেলা জামায়াতের আমির খালেক মোল্লা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর।

স্বাধীনতার পর থেকে এখানে বোমা তৈরি হয় ও জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ হতো উল্লেখ করে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান ক্ষোভ সাথে বলেন, এখানে আওয়ামী পরিবারের লোকজনকে ধরে হত্যা করা হতো।

জঙ্গি দমনে জনসমর্থনের কথা বলেছেন আইন-শৃংখলা বাহিনী। আগরদারীর ভয়াবহ পরিস্থিতির চিত্র প্রকাশ পায় জেলা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের বক্তব্যে।

তিনি বলেন, আগরদারীতে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলাই যেতো না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো।

বর্তমানে সেখানে মৌলবাদ বা সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর দু মাস আগে প্রথমবারের মতো আগরদারী এলাকায় জনসমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।