দুর্নীতি মামলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। দুদকের আইনজীবীরা বলেছেন, এর ফলে জজ আদালত মায়াকে ১৩ বছরের যে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন তা বহাল থাকলো। তবে হাইকোর্টে আবার শুনানিও করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক আমলে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দুই ধারায় মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকার অর্থদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
ওইসময় পলাতক থাকলেও পরে রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মায়া।
শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর মায়াকে খালাস দিয়ে রায় দেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ। আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
রোববার মায়াকে দেয়া হাইকোর্টের খালাসের আদেশ বাতিল করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপির বিভাগ।
এরকম আরো কয়েকটি দুর্নীতি মামলার মতো এ মামলাতেও আবারো হাইকোর্টে শুনানি হবে।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, নতুন কোনো আদেশ না হওয়া পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামিন বহাল থাকবে।
দুদকের আইনজীবী এডভোকেট খুরশীদ আলম বলেন, দুদক একটি লিভ টু আপিল করেছিলো। সেটা অনেকদিন তালিকায় ছিলো। আজকে তার শুনানি হয়েছে। আপিল বিভাগ দুদকের আপিল মঞ্জুর করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আদালত মায়াকে দেয়া হাইকোর্টের বেকসুর খালাসের অাদেশ বাতিল করেছেন। হাইকোর্ট এ মামলা মহিউদ্দীন খান আলমগীরের মামলাটির মতো সমাধান দেওয়ায় আপিল বিভাগ দুটি মামলাকে ভিন্ন বলে সবক্ষেত্রে পূর্ব সমাধান প্রযুক্ত হবে না বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন।