লিওনেল মেসির মাস্টারক্লাস পারফর্মেন্সে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঘরোয়া ডাবল শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। সেভিয়াকে হারিয়ে স্প্যানিশ লা লিগার পর এবার কোপা ডেল রে’র শিরোপাও ধরে রাখলো কাতালানরা। দলের ২-০ গোলের জয়ে গোল করেছেন জর্দি আলবা আর নেইমার। দুটি গোলেরই যোগানদাতা মেসি। কোপায় এটি বার্সার ২৮তম শিরোপা।
ফাইনাল ছিল দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াই। গত সপ্তাহেই লা লিগা জিতেছে বার্সেলোনা। আর ইউরোপা লিগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে সেভিয়া। লিভারপুল হেলায় হারিয়ে ইউরোপার শিরোপা জিতলে পারলেও মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের সামনে টিকতে পারেনি দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকা সেভিয়া।
ম্যাচ হয়েছে দুই চ্যাম্পিয়নের ম্যাচের মতোই। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠ ‘ভিসেন্তে দেল কালদেরনে’ কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। বার্সাকে নির্ধারিত সময়ে রুখে দেয় সেভিয়া। এর মধ্যে আবার নির্ধারিত সময়ের প্রথমার্ধে দশ জনের দলে পরিণত হয় বার্সা। লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় আর্জেন্টাইন তারকা হাভিয়ের মাচেরানোকে।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটের পর দশ জন নিয়ে খেলতে থাকে কাতালানরা। পরে অবশ্য খেলোয়াড় সংখ্যা সমান হয় দুদলেরই। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষের আগ মুহূর্তে দশজনের দলে পরিণত হয় সেভিয়াও। এবার লাল কার্ড দেখেন আরেক আর্জেন্টাইন তারকা এভার বানেগা।
নির্ধারিত সময়ে কোনো দলই গোল করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ৯৭ মিনিটের মাথায় অবশেষে গোলের দেখা মেলে। লিড নেয় বার্সা। মেসির মাস্টারক্লাস পাস থেকে থেকে গোল করেন করেন উইংগার জর্দি আলবা।
খেলার অতিরিক্ত সময়ে (১২১ মিনিট) লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে যেতে হয় সেভিয়ার ড্যানিয়েল মার্টিনসকে। পরের মিনিটেই গোল করেন বার্সার ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। এবারো দলের গোলের যোগানদাতা এমএল টেন।
বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে বার্সা এ মৌসুমেও কোপা দেল রে’র শিরোপা ঘরে তুললো।
২০০৬ সালের পর ইউরোপিয়ান ফুটবলে এই দুই দলের চেয়ে বেশি শিরোপা জেতেনি আর কেউ। এই মৌসুমে লিগে দুই দলই একে অন্যকে হারিয়েছে। দুটি ম্যাচেরই ফল ২-১, তবে এর আগের লড়াইটাই বেশি রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল। উয়েফা সুপার লিগে সেভিয়ার সঙ্গে বার্সার ৫-৪ গোলের ম্যাচটা তো মনের রাখার মতো।