নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফ জাইয় এক পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করাকে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ভারতে আশ্রিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। টুইট করে হতাশার কথা জানিয়েছেন তিনি।
টুইটে তিনি লেখেন: ‘মালালা একজন পাকিস্তানি ছেলেকে বিয়ে করায় আমি মর্মাহত। তার বয়স কেবল ২৪ বছর। সে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে, এজন্য আমি ভেবেছিলাম সে অক্সফোর্ডের কোনো প্রগতিশীল ইংরেজ হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে সম্পর্ক করবে এবং ৩০ বছরের আগে বিয়ের কথা ভাববে না। কিন্তু…
১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াট জেলায় এক মুসলিম পরিবারে জন্ম মালালার। ২০১২ সালে স্কুলে যাওয়ার পথে জঙ্গি হামলার শিকার হন তিনি। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। হাজারো বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও নারীশিক্ষা বিস্তারে তার সক্রিয় ভূমিকার জন্য ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা। হামলার পর তাকে চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকেই ইংল্যান্ডের বাসিন্দা মালালা। সেখান থেকেই নারীশিক্ষা বিস্তারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তসলিমা প্রশ্ন তুলেছেন: যারা ওকে হত্যার চেষ্টা করছিল, তারা কারা ছিল? পাকিস্তানি। কেন নিজের দেশ ছাড়তে হল? সেই পাকিস্তানের জন্যই। কিন্তু যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন, ওর চিকিৎসা করেছেন, জীবন বাঁচিয়েছেন, তারা তো সাদা চামড়ার মানুষ। যার সঙ্গে উনি বই লিখেছেন, যারা ওকে তহবিল সংগ্রহে সাহায্য করেছেন, নোবেল দিয়েছেন, তারাও তো সেই একই শ্রেণির মানুষ। কিন্তু এর পরেও মালালা বিয়ে করলেন কাকে? সেই পাকিস্তানিকেই। বিষয়টি সত্যিই হতাশাজনক।
তবে মালালার বিয়ে নিয়ে টুইটারে বিরূপ মন্তব্য করায় কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তসলিমা।
৯ নভেম্বর ব্রিটেনের বার্মিংহামে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আছার মালিককে বিয়ে করেন মালালা।