মুসলিম হওয়ার জেরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। সেই অভিজ্ঞতা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের সাথে শেয়ার করেছেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে তসলিমা নাসরিন তার পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে প্রবেশের অভিজ্ঞতা পাশাপাশি তুলে ধরেছেন।
তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি আমি হিন্দু নই বলে। এরপর কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে একেবারে কালী মূর্তি যে ঘরে, সে ঘরে আমাকে সসম্মানে ঢোকানো হয়েছিল।
তিনি লিখেছেন, শুধু তাই নয়, কালীকে পরানো লাল বেনারসি শাড়িটি আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। সুগন্ধ লেগে ছিল শাড়িতে। শাড়িটি আমার এক কালী ভক্ত বৌদিকে দিয়ে দিয়েছিলাম। তিনি যে কী খুশি হয়েছিলেন!
তিনি আরও লিখেছেন, কত জায়গায় যে আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ, কোথাও আবার আমি গর্ভগৃহে আমন্ত্রিত। জীবনে কত রকম ভাল মন্দ জোয়ার ভাটা দেখেছি। জ্যাক দারিদা বড় পুরস্কার দিচ্ছেন, ওদিকে কুড়োলের কোপ মেরে সুস্থ মানুষের পা কেটে ফেললো অর্থলোভী ক্রিমিনাল। জীবনে সম্মান যেমন পেয়েছি, অসম্মানও পেয়েছি কম নয়।
পোস্টের কমেন্ট বক্সে একজন লেখেন, ‘জগন্নাথ মন্দির ঠিক কাজটি করেছে। কারণ সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যার যার ধর্ম তার তার।’ আরেক জন লেখিকাকে খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘আমরা জানি,আপনি কোনও ধর্মের বিশ্বাসী নন ।তাহলে মন্দিরে গেলেন কেন?’
এইসব প্রশ্নের অবশ্য কোনও জবাব দেননি তসলিমা নাসরিন। কটাক্ষ নিয়ে কখনোই কোন পরোয়া করেন না তিনি। তবে মাঝেমধ্যে মনের কথা ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করে নেন।