বড় ভাই আল-আমিনকে নিয়ে পিচ তৈরি করে তাতে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের ক্রিকেটার মারুফা আক্তার। করোনাকালে বিকেএসপি বন্ধ থাকায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার রেলওয়ের পরিত্যক্ত মাঠটিই ছিল নিজেকে প্রস্তুত করার মঞ্চ।
কিন্তু মারুফার ক্রিকেট অনুশীলনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কয়েকজন স্থানীয়। রাতের অন্ধকারে উইকেটে কুপিয়ে অনুশীলনের অনুপযোগী করে রাখেন। গতকাল শুক্রবার এই অবস্থা দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শরণাপন্ন হন মারুফা। তাদের সহযোগিতায় সেখানে আবার অনুশীলন শুরুর অনুমতি পান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
চ্যানেল আই অনলাইনকে মারুফা বলেন, ‘মাঠ পেরিয়ে বল একবার শস্যভূমিতে যাওয়ায় কেউ এই কাজ করেছে। আমার বড় ভাইকে নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে উইকেট বানিয়েছিলাম। এটি ঠিক করে আবার অনুশীলন শুরু করতে হবে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ফেনসি বেগম এগিয়ে না এলে হয়ত এই মাঠে আমার আর অনুশীলন করাই হত না।’
কৃষক বাবার সম্ভাবনাময় মেয়ে মারুফা বয়সভিত্তিক পর্যায় পেরিয়ে খেলতে চান জাতীয় দলে। অভাব-অনটনে খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভাবছিলেন বিকেএসপির এই শিক্ষার্থী।
করোনার প্রথম ওয়েভ যখন বাংলাদেশে তখন বাবার সঙ্গে কৃষিকাজে মন দেন টাইগ্রেস পেসার। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুদানে মারুফা স্বপ্নের পথে পা বাড়াচ্ছেন।