সিগারেট ধূমপান থেকে বিরত রাখতে বাজারে আসা আপাত ‘স্বাস্থ্যকর’ ফ্লেভার দেয়া ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেটও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। নতুন এক গবেষণায় থেকে জানা গেছে, ই-সিগারেটের কেমিকেল দেয়া উৎপন্ন ধোঁয়া উচ্চতর ক্ষতিকর মাত্রার ফরমালডিহাইডের মতো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের জন্ম দিতে পারে।
নেভাডা’র ডেজার্ট রিচার্স ইন্সটিটিউটের গবেষকরা দেখেছেন যে, ফ্লেভার দেয়া তরলে দ্রুত তাপ দিয়ে ধোঁয়া উৎপন্ন করা হলে বিষাক্ত আলডেহাইডেস’র মতো ক্ষতিকর উপাদান তৈরি হয়।
এই গবেষকদের একজন অধ্যাপক আন্দ্রে খাইলস্তভ। তিনি জানান, ৫টি আলাদা আলাদা ফ্লেভার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে এসব ফ্লেভার দেয়া ই-সিগারেটের প্রতি টানে মারাত্মক মাত্রার আলডেহাইডস উৎপন্ন হয়।
গবেষণা থেকে পাওয়া ফলাফল চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে যে, এসব ফ্লেভারের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান এবং সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ সবগুলো গবেষণাতেই দেখা গেছে বেঁধে দেয়া মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রার ক্ষতিকর উপাদানের জন্ম দিচ্ছে বাহারি স্বাদের ফ্লেভার।
গবেষণায় এমন বাস্তবতা উঠে আসার আগে এবছর ই-সিগারেট নিয়ে বেশ প্রশংসাই করেছিলো পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড। সংস্থাটি জানিয়েছিলো সাধারণ তামাকের চেয়ে ই-সিগারেট ৯৫ শতাংশ কম ক্ষতিকর। এজন্য সিগারেট ছেড়ে ই-সিগারেটকেই বেছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলো সংস্থাটি।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এখনই এরকম ধারণা করা এবং ই-সিগারেটের প্রচারণা চালানোটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
তাইতো এবছর আগস্টেই ই-সিগারেট নিয়ে সাবধান বাণী উচ্চারণ করে এথেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক চারালাম্বোস ভিয়াচোপউলোস বলেন,‘ প্রচলিত সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট কম ক্ষতিকর হতে পারে। তবে হৃদযন্ত্রের জন্য এটা হতে পারে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির কারণ। এই ক্ষতি কতোটা তা সাধারণের ধারণারও বাইরে’।