সময়ের অন্যতম মেধাবী নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। অভিনেতা হিসেবেও যেমন শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন, তেমনি নির্মাতা হিসেবেও নিজের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছেন। যার ফল পাচ্ছেন হাতে নাতে।
এরইমধ্যে তার নির্মিত বেশ কয়েকটি ছবি অর্জন করেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এমনকি সদ্য সমাপ্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ তেও তার নির্মাণে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের আলোচিত ছবি ‘অজ্ঞাতনামা’ জিতে নিয়েছে সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট তিন বিভাগের পুরস্কার।
চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় এমন সম্মাননা প্রাপ্তিতে বেশ উচ্ছ্বসিত নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। ‘অজ্ঞাতনামা’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় কথা বলেন তৌকীর। সেখানে ‘অজ্ঞাতনামা’র পুরস্তার প্রাপ্তিতে যারা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ‘হালদা’ নির্মাতা। সেই সাথেও তিনি স্মরণ করেন তার প্রথম দিকে নির্মিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত ছবিগুলোর নাম।
‘অজ্ঞাতনামা’ পুরস্কার হাতে পাওয়ার পর তৌকীর বলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আমার কাছে একটি বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এটিই সর্বোচ্চ পুরস্কার। উল্লেখ করার লোভই সামলাতে পারছি না। ইতিপূর্বে ২০০৪ সালে ‘জয়যাত্ৰা’, ২০০৭ সালে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সহ ৬ ও ৭ টি শাখায় পুরস্কৃত হয়েছিল। যারা আমাকে ও আমাদের দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তির এমন আনন্দের মধ্যেও যেন নির্মাতার মনে কিছুটা বিষাদ! বলেন, ভালো চলচ্চিত্র টিকে থাকে তার গুনে, সময়কে অতিক্রম করে। মানুষের ভালোবাসাই একটি চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার। ‘অজ্ঞাতনামা’ আপনাদের সেই পুরস্কার পেয়েছে আগেই। এই পুরস্কার চলচ্চিত্রের জন্য অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে, পক্ষপাতিত্ব বা তদবিরের সংস্কৃতি ত্যাগ না করলে ক্ষতি সার্বিক ভাবে এদেশের চলচ্চিত্রেরই।
এর তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে চারটি কথা বলেন:
চলচ্চিত্রের এই সর্বোচ্চ পুরস্কার এর সেশন জট দূর করা দরকার। ২০১৬ সালের পুরস্কার ২০১৮ তে না হয়ে ২০১৭ এর মধ্যেই হলেই ভালো হতো। না হলে আনন্দ যেমন ফিকে হয় একই সঙ্গে দর্শকের মনেও গুরুত্ব কমে।
এ ধরনের একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও গুরুত্ব সহকারে সুন্দর ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় হওয়া উচিত, না হলে সৌন্দর্য্য হানি ঘটে।
সর্বোপরি পুরস্কার এর জুরি বোর্ডেরও আরো দায়িত্ব সহকারে সকল তদবির ব্যক্তি ও গোষ্ঠি স্বার্থের উপরে উঠে বিচারকার্য সম্পন্ন করা জরুরী, নিরপেকক্ষতার ঘাটতি অযোগ্য লোকের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়।তাতে সার্বিক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব হানি হয়।
কোনো শাখায় মানসম্মত প্রতিযোগী না থাকলে সেই শাখায় ঐ বছর পুরস্কার নাও দেয়া যেতে পারে।