বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর আনন্দ, উৎসবের মধ্য দিয়েই উদযাপন হলো। সারা বছর পর প্রধান যে দুই ধর্মীয় উৎসবে সাধারণ মানুষ স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন এর অন্যতম হলো ঈদুল ফিতর।
দীর্ঘ এক মাস রোজা শেষে এই পবিত্র ঈদ ধনী-নির্ধন, উঁচু-নিচু নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর লোকদের মাঝে ভালবাসা, সম্প্রীতি ও ঐক্যের সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করে।
সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া থাকলেও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এবং চ্যানেল আই প্রাঙ্গণসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এর মাধ্যমে তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পরম সহিষ্ণুতা, সাম্য, বন্ধুত্ব ও শাশ্বত কল্যাণ কামনা করেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বুধবার সকালে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকলেও ঈদ উপলক্ষে দেশবাসী এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এবারের ঈদ আনন্দ আরও বেশি অর্থবহ হয়েছে বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়া সাধারণ মানুষ প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে পারায়। এজন্য সংশ্লিষ্টদের আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ভবিষ্যতেও মানুষের ভোগান্তি লাঘব করতে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
একইসঙ্গে ঈদের সকালে রাষ্ট্রপতির দেয়া ভাষণের কিছু অংশ আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। তিনি বলেছেন: ঈদুল ফিতরের মর্মার্থ হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ, যা ধনী-দরিদ্র, আমির-ফকির সকল শ্রেণীর লোকদের এক কাতারে নিয়ে আসে।
ঈদুল ফিতরের এই মর্মার্থ সবাই ধারণ করবেন বলেই আমরা আশা করি। শুধু উৎসবের বদলে শান্তিপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণের শিক্ষা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি আর ভ্রাতৃত্বের মহীমান্বিত আহ্বানে সারা বছরই শান্তি-সুধায় ভরে থাকুক প্রতিটি মানুষের হৃদয়।