চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারুলের আপিল শুনানি শুরু

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের করা আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে মঙ্গলবার এই শুনানি শুরু হয়।

আজ আদালতে আজহারুলের আপিলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন তুহিন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সহ কয়েকজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল আপিল বিভাগ এটিএম আজহারুল ইসলাম ও মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানির জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করে আদেশ দিয়েছিলেন। ওইদিন আদালত বলেছিলেন ‘প্রথমে আজহারুল ইসলামের আপিলের শুনানি শুরু হবে। এবং এটা শেষ হওয়ার পর সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিল শুনানি শুরু হবে।’

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পাশাপাশি ৩০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২৫৬ জনকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।

ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন এই জামায়াত নেতা। আপিলবিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেছিলেন আজহার।

অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সলের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন এই মুসলিম লীগ নেতা।২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিল করেন সৈয়দ কায়সার।