মহাবিশ্ব সৃষ্টির দিন থেকে এই মুহূর্ত পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময়কালকে এক বছর ধরে নিলে, মানুষের উদ্ভব হয়েছে কখন, প্রথম সংবিধান সে রচেছিলই বা কবে? বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ক্রমবিকাশের এমন নানান দিক নিয়ে ‘রোমাঞ্চকর’ বিজ্ঞান আলোচনা হয়ে গেল রাজধানীর একটি বিদ্যালয়ে।
বিজ্ঞানবক্তা আসিফ ‘মহাজাগতিক বর্ষপঞ্জি’ নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীর সামনে তার দর্শন তুলে ধরেন।
শনিবার ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এ আসরের উদ্যোক্তা ছিল বিজ্ঞান সংগঠন ডিসকাশন প্রজেক্ট।
আসিফ তার ৭৫তম উন্মুক্ত এ আলোচনায় বলেন, ‘মহাবিশ্বের মাঝে পৃথিবীর অবস্থান একটা বিন্দুর চেয়েও নগণ্য। অথচ মানুষ কত না তুচ্ছ কারণে পরস্পরের মাঝে বিরোধের বিশাল দেওয়াল তুলে দেয়।’
বাংলা একাডেমির ‘হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার’ পাওয়া এ লেখক মহাবিস্ফোরণ থেকে আজঅবধি সব ঘটনাকে সহজ ভাষায় সবার বোধগম্য করার চেষ্টা করেন।
আড়াই ঘণ্টার এ আসরের সবচেয়ে প্রাণবন্ত অংশ ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। পৃথিবীর বাইরে কি কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে? এক শিক্ষার্থীর এমন প্রশ্নের জবাবে ‘বিজ্ঞানের বহু গতিপথ’ বইয়ের লেখক আসিফ অন্তত কোটি গ্রহে মানুষের চেয়ে উন্নত বুদ্ধিমান প্রজাতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সমান্তরাল মহাবিশ্ব, কৃষ্ণবিবর এবং সময় পরিভ্রমণ নিয়েও কৌতূহলী শিক্ষার্থীরা তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন করেন।জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।অনুষ্ঠানে দুই যুগের বেশি সময় ধরে দেশের সবপ্রান্তে বিজ্ঞানের দর্শন ফেরি করে বেড়ানো আসিফের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
‘আসিফের মহাজাগতিক পথচলা’ শীর্ষক এ প্রামাণ্যচিত্রটি উন্মাদ সম্পাদক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের পরিকল্পনায় এবং মাহবুবুল আলম তারুর গবেষণা ও পরিচালনায় নির্মিত।
অনুষ্ঠানে ডিসকাশন প্রজেক্টের বিজ্ঞানযাত্রার কথা তুলে ধরেন সংগঠনটির সহউদ্যোক্তা, লেখক খালেদা ইয়াসমিন ইতি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্কুলের শিক্ষক অনিক আজাদ।
অনুষ্ঠানে স্কুলটির ১১০ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এবং ডিসকাশন প্রজেক্টের বিজ্ঞানকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: প্রণব রায়