সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে টেলিভিশন টকশো’তে ভুল বক্তব্য ও শব্দ বিভ্রাটের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘দেশে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আইনের সংকীর্ণতার কারণে আমার বিকল কিডনি রােগের উত্তম চিকিৎসা সুলভে কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে সম্ভব নয়। বিধায় জীবন রক্ষার নিমিত্তে আমাকে প্রতি সপ্তাহে তিনদিন প্রতিবার চার ঘন্টা করে হােমাডায়ালাইসিস করাতে হয়। ডায়ালাইসিস শেষ হওয়ার পর স্বাভাবিক কারণেই শারীরিক দুর্বলতা বাড়ে এবং মানসিক স্থিতি কিছুটা কমে।
সময় টেলিভিশনের বিশেষ অনুরােধে শারীরিক দুর্বলতা নিয়েই আমি ৯ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে রাত দশটায় তাদের একটি টক শােতে অংশ নেই। আলােচনাকালে আমি দেশের বর্তমান সেনাপ্রধান সম্পর্কে অসাবধানতাবশত একটি ভুল তথ্য উল্লেখ করেছিলাম।’
ভুল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘জেনারেল আজিজ একজন দক্ষ আর্টিলারি সেনা কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি ছিলেন না, কমান্ডেন্টও ছিলেন না। তিনি তার কর্মজীবনের এক সময়ে চট্টগ্রাম সেনাছাউনিতে আর্টিলারি প্রশিক্ষক ছিলেন।’
জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে ‘কোর্ট-মার্শাল’ হয়নি বলেও জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ভুল বক্তব্য ও শব্দ বিভ্রাটের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও মর্মাহত। সেনাবাহিনী বা জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না এবং এরূপ কোনো অভিপ্রায়ও আমার নেই।’
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর গৌরবে গর্বিত উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বিবৃতিতে বলেন, জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করার কোনো চিন্তা বা উদ্দেশ্য আমার ছিল না।
জেনারেল আজিজকে ‘অসাবধানতাবশত’ কষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্য ডা. জাফরুল্লাহ আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন।
এর আগে শনিবার সকালে সেনাপ্রধান সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য বক্তব্য’ বলে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযােগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।