চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভুল কার? পাইলটের নাকি কন্ট্রোল টাওয়ারের?

জিরো-টু এবং টু-জিরো বিভ্রান্তি?

বিধ্বস্ত হওয়ার আগে নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করতে চলা ইউএস-বাংলার ফ্লাইট ২১১ উড়োজাহাজ এবং বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্টোলের (এটিসি) রেডিও কথোপকথন ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্লাইট-২১১ এবং এটিসি’র মধ্যকার কথোপকথনের অডিওটির বর্ণনায় পোস্টদাতা কমল কুমার লিখেছেন: রানওয়েতে উড়োজাহাজটি আছড়ে পড়ার মাত্র কয়েক মিনিট আগে এটাই ফ্লাইট-২১১ এবং এটিসির কথোপকথন। কথোপকথন শুনে মনে হচ্ছে কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে বলা রানওয়ে জিরো-টু এবং টু-জিরো নিয়ে বড় ধরণের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিলো।

কমলের পোস্ট করা অডিওর শুরুতে এটিসি থেকে ফ্লাইট-২১১ কে ইংরেজিতে বলা হয়, “২১১ আই সে এগেইন, ডু নট প্রসিড টু রানওয়ে টু-জিরো। জবাবে ২১১ জানায়, “ওকে, উই আর মেকিং এন অরবিট টু দ্য রাইট।”

এরপর এটিসি কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা বলেন। তবে তাদের এই কথোপকথন ইংরেজিতে হয়নি।

এই কথোপকথনের পর এটিসি থেকে ফ্লাইট ২১১ কে জানানো হয়, “রানওয়ে ইজ ভেকেটেড, ইদার রানওয়ে জিরো-টু অর টু-জিরো।”

তখন ইউএস বাংলার ফ্লাইট ২১১ থেকে জবাব দেয়া হয়, “ উই উড লাইক টু ল্যান্ড অন টু-জিরো।”

এরপরে এটিসির নির্দেশনা ও ২১১ পাইলটের মধ্যে তথ্য বিনিময়ে বিভ্রান্তি ধরা পড়ে।

এটিসি ২১১ কে বলে, “রানওয়ে টু-জিরো ক্লিয়ার্ড, উইথ ২৭০ ডিগ্রি, সিক্স নর্থ”।
জবাবে ২১১ বলে, “২৬০ কপিড”।

এরপর রানওয়েতে অবতরণ, রানওয়ে টু-জিরো এবং জিরো-টু নিয়ে চলতে থাকে এটিসি ও ফ্লাইট ২১১ এর কথোপকথন।  ইউটিউবে স্থিরচিত্রসহ অডিওটি ২৫ মিনিট ৭ সেকেন্ডের।